অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘরে বাঙালির প্রত্যাবর্তন

অন্যান্য এইমাত্র

আজকের দেশ ডেস্ক ঃ আপামর বাঙালির ভোটে ১৯৫৪ সালে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের প্রাদেশিক সরকারকে দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে পাকিস্তানিরা ষড়যন্ত্র করে বাতিল করে।


বিজ্ঞাপন

এবং শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে প্রায় ৭ মাস জেলে রাখে। এরপর ১৯৫৫ সালে গণপরিষদের সদস্য হন তিনি। পল্টন ময়দানের প্রকাশ্য জনসভায় বাংলার স্বায়ত্তশাসনসহ একুশ দফার দাবি তোলেন।

একই বছর দলের নাম থেকে মুসলিম অংশটি বাদ দিয়ে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’ নামকরণ করা হয় শেখ মুজিবের প্রস্তাবে।

যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে ১৯৫৪ সালে ২২৩ আসনের মধ্যে মুসলিম লীগের মাত্র ৯ আসন ও আওয়ামী লীগ এককভাবে ১৪৩ আসন প্রাপ্তির পর, পাকিস্তানিদের ধর্মের ভণ্ডামির খোলস উন্মোচিত করে, শেখ মুজিব এই সিদ্ধান্ত নেন।

বাংলার মানুষকে ধর্মীয় গোঁড়ামি থেকে বের করে, উন্নত অর্থনীতি ও সাম্যভিত্তিক সমাজ গড়ার প্রত্যয়ে তিনি এই সংস্কার সাধন করেন।

পরবর্তীতে তার এই আদর্শের ওপর ভিত্তি করেই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সাত কোটি বাঙালি একত্রে স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ হয়ে ওঠে।

১৯৫৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রাদেশিক সরকারের শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়েও, ১৯৫৭ সালের মে মাসে সেই পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ মুজিব।

কারণ, দাসত্বের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির জন্য আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জাতিকে একাট্টা করার ক্ষেত্রে আরো বেশি সময় প্রদানের উদ্দেশ্যে তিনি এই ত্যাগ স্বীকার করেন।

এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশজুড়ে সফর করে অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন ছড়াতে শুরু করে।