দিনাজপুর বিআরটিএ অফিসে স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়ে গ্রাহক হয়রানি, দিরাই সুনামগঞ্জ সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে আজ ৯ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৭ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ বিআরটিএ অফিস, দিনাজপুর-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে গ্রাহকের স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানে হয়রানির অভিযোগের সত্যতা অনুসন্ধানে জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় দিনাজপুরের উপপরিচালক মুহাম্মদ মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার ১৩ জানুয়ারি, একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম।

দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনে জন্য সরেজমিনে বিআরটিএ কার্যালয় পরিদর্শন করে এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলে এবং এ সংক্রান্ত নথিপত্র সংগ্রহ করে।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে টিম জানতে পারে, স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য পূর্বের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাথে চুক্তি শেষ হয়েছে কিন্তু তারা দিনাজপুরের আবেদনকারীর প্রায় ১১ হাজার স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্ড এখনো সরবরাহ করে নি। ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের জন্য বর্তমানে নতুন ঠিকাদারের সাথে চুক্তি হয়েছে। আবেদনকারীদের পর্যায়ক্রমে ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্ট কার্ড প্রদান করা হবে।

অভিযানকালে দুদক টিম বিআরটিএ অফিসে আগত গ্রাহকদের সাথে কথা বলে এবং তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে।
দুদক টিম এর সময় বিআরটিএ-র দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে গ্রাহক হয়রানি বন্ধ এবং সেবার মান বৃদ্ধি নির্দেশনা প্রদান করে। টিম অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে।

অপর এক অভিযোগে জানা গেছে,
সাব রেজিস্ট্রার অফিস, দিরাই, সুনামগঞ্জ-এর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গ্রাহকের জমি রেজিস্ট্রি বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, সিলেটের সহকারী পরিচালক মোঃ আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে আজ অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। টিম সরেজমিনে সাব-রেজিস্ট্রার অফিস পরিদর্শন করে। অভিযানকালে দায়িত্বপ্রাপ্ত সাব-রেজিস্ট্রারকে অফিসে পাওয়া যায়নি।

জনবল স্বল্পতার জন্য সুনামগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে অফিস আদেশের প্রেক্ষিতে তিনি দুদিন দিরাই, দুদিন ছাতক ও একদিন সাল্লা সাব-রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তিনি সপ্তাহে মাত্র দুদিন দিরাই অফিসে দলিল সংক্রান্ত কাজ সম্পাদনা করতে পারছেন।

জমি রেজিস্ট্রি বাবদ সরকার নির্ধারিত হারে চালান-এর মাধ্যমে ফি জমা নেওয়া হয় কিন্তু দলিল লেখকের ফি নগদে আদায় করা হয়। পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ ও দলিল লেখকের ফি চালান-এর মাধ্যমে আদায়ের সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৭টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।