যশোরে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক ৩০ টি হারানো মোবাইল ফেরত সহ বিকাশ প্রতারণার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ

অন্যান্য এইমাত্র

সুমন হোসেন ঃ সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, যশোর কর্তৃক ৩০ টি হারানো মোবাইল, বিকাশের নগদ ৬০,১৫০ টাকা উদ্ধার সহ ফেসবুক প্রতারনা থেকে প্রতিকারের ব্যাবস্থা গ্রহণ করেছে, এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।


বিজ্ঞাপন

যশোর জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম এর দিক-নির্দেশনায় অত্র জেলার বিভিন্ন থানাধীন মোবাইল হারানো সংক্রান্তে ভিকটিমের করা জিডির প্রেক্ষিতে গতদুই মাসে বিভিন্ন ব্রান্ডের সর্বমোট ৩০ টি হারানো মোবাইল উদ্ধার করেছে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, যশোর।

এছাড়াও ভিকটিম বিকাশ লেনদেনের সময় ভুলবসত অন্যের নম্বরে টাকা পাঠানো সংক্রান্তে চার জন ভিকটিমের করা অভিযোগের ভিত্তিতে সর্বমোট ৬০,১৫০ টাকা উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে হয়রানির শিকার চার জন ভুক্তভোগিকে আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এসংক্রান্তে ১৫ জানুয়ারি, দুপুর সাড়ে ১২ টায় যশোর জেলার পুলিশ সুপার এর নির্দেশনায় মুকিত সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, “খ” সার্কেল, যশোর পুলিশ অফিস কনফারেন্স রুমে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল কর্তৃক ৩০ টি হারানো মোবাইল ও বিকাশের নগদ ৬০,১৫০ টাকা উদ্ধার পূর্বক প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ, সাংবাদিকবৃন্দ, সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল যশোরের সদস্যবৃন্দ।

উল্লেখ্য গত দুইমাস আগে রেঞ্জ ডিআইজি খুলনা এর নির্দেশনায় যশোর জেলার সম্মানিত পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম(বার), পিপিএম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল গঠন করা হয়েছে।

যেখানে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তার সার্বিক তদারকিতে একজন ইন্সপেক্টর(নিরস্ত্র), দুইজন সাবইন্সপেক্টর(নিরস্ত্র), দুইজন এএসআই(নিরস্ত্র)/ এবং চারজন কনস্টেবল নিয়ে একটি টিম সার্বক্ষণিক সেবা গ্রহিতাদের সেবা প্রদান করে চলেছে।

সেলটি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট, মন্তব্য, ছবি আপলোড, গুজব, বিকাশ প্রতরণাসহ সাইবার স্পেসে নারী হয়রানি রোধে কাজ করে চলেছে।

সাইবার স্পেসে যদি কোন নারী প্রতরণা বা হয়রানির শিকার হন তবে আমাদের কাছে জানাতে পারেন। এক্ষেত্রে অভিযোগকারীর নাম ও ঠিকানা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।

আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো সোশ্যাল মিডিয়ায় সংগঠিত অপরাধের আইনি সহায়তা প্রদান ও এটি ব্যবহারে সর্বসাধারণকে আরো বেশি সচেতন করা।