সিলেটে র‌্যাব-৯ এর অভিযানে নারীদের ব্যক্তিগত ছবি এডিটিং করে ব্লাকমেইলিং করার অভিযোগে ১ জন গ্রেপ্তার

অন্যান্য এইমাত্র

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ২২ জানুয়ারি, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নে লিখিত অভিযোগ করেন যে, একজন ব্যক্তি অনলাইন যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তার ব্যক্তিগত ছবি এডিটের মাধ্যমে ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অশ্লীলভাবে প্রচারের হুমকি ও অর্থ দাবি করছে।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগের প্রেক্ষিতে র‌্যাব-৯, সিলেট অনুসন্ধান পূর্বক ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের নিমিত্তে কার্যক্রম শুরু করে।প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ভিকটিমের সঙ্গে দুই বৎসর পূর্বে ফেসবুকে অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় হয়।

পরিচয় হওয়ার সুযোগ নিয়ে প্রতিনিয়ত ভিকটিমের সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তির অনলাইনে যোগাযোগ চলতে থাকে।

পরে ভিকটিমকে অভিযুক্ত ব্যক্তি জানায় যে, সে স্ব-পরিবারে লন্ডনে থাকে এবং লন্ডনে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে।

একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ও বিয়ের জন্য প্রস্তাব দেয় এবং বিয়ের পরে ভিকটিমকেও লন্ডনে নিয়ে যাবে বলে আশ্বস্ত করে।

সেই সম্পর্কের জের ধরে হোয়াটসঅ্যাপে ভিকটিমকে ফুসলিয়ে ভিকটিমের কিছু ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ করে। গত কিছুদিন ধরে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমের সাথে কারনে-অকারনে খারাপ আচরন করে এবং ভিকটিমের সমস্ত ছবি ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দিবে বলে ব্লাকমেইল পূর্বক অর্থ দাবি করতে থাকে।

সে বিভিন্ন সময় ভিকটিমের নিকট থেকে বিকাশের মাধ্যমে ২৭,০০০ টাকা আদায় করে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ব্যক্তি ভিকটিমের মায়ের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে, সংগ্রহে থাকা ভিকটিমের ব্যক্তিগত ছবি প্রেরণ করে অর্থ দাবি করে।

ঘটনার সত্যতা সাপেক্ষে র‌্যাব-৯, সিলেট উক্ত ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত মোঃ শাকিল আহম্মেদ (৩০), পিতা- খসরুজ্জামান মিয়া, মাতা- মারুজু বেগম, গ্রাম- সুতার কান্দি, বিয়ানীবাজার, সিলেটকে সনাক্ত পূর্বক গ্রেপ্তার করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সে দীর্ঘদিন ধরে অনেকের সাথে একই ধরনের প্রতারণার আশ্রয় গ্রহন করে ব্যক্তিগত ছবি সংগ্রহ পূর্বক ব্লাকমেইলের মাধ্যমে টাকা আদায় করে আসছে।

তার অন্য কোন পেশা বা অর্থ উপার্জন করার ক্ষমতা না থাকায় সে এরূপ প্রতারণা কেই অর্থ উপজর্নের উপায় হিসেবে গ্রহন করে। অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইল ফোনের ডাটা বিশ্লেষনে ঘটনার সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়।

উল্লেখ্য যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে একই ধরনের অপরাধ কর্মের ফলস্বরূপ এসএমপি-সিলেটের কোতয়ালী মডেল থানার এফআইআর নং -৬৪/৬৪৫, তারিখ- ২৭ নভেম্বর, ২০১৯; ধারা- ৮(১)/৮(২)/৮(৩)/৮(৪)/৫/৮(৫)(ক); ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন; এবং এসএমপি-সিলেটের কোতয়ালী মডেল থানার এফআইআর নং- ৫১/৪৯৬, তারিখ- ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৯; ধারা- ৭/৩০, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধন-২০০৩); এই দুটি মামলায় সে এজাহারে অভিযুক্ত এবং মামলা দুটি বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের স্বার্থে উদ্ধারকৃত আলামত, গ্রেফতারকৃত আসামীকে সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।