আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ৫ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা ধধংস সহ সকল স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ হাইকোর্টের

অন্যান্য এইমাত্র

বায়ুদূষণ বন্ধে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ঢাকাসহ ৫ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস ও সেখানে নির্মিত স্থাপনা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গতকাল মঙ্গলবার ১ মার্চ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশে আদালত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার সব জেলা প্রশাসক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব অবৈধ ইটভাটা ধ্বংস ও সেখানে নির্মিত স্থাপনা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।

একইসঙ্গে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। পিরোজপুর জেলার অন্তর্গত ভান্ডারিয়া উপজেলার এক নং ভিটাবাড়িয়া উইনিয়নে এক নং ওয়ার্ডে নাইম হাওলাদার ও বারেক হাওলাদার অবৈধভাবে ইটভাটা চালিয়ে যাচ্ছে।

ঐ এলাকার মানুষ অসুস্থ হয়ে জাচ্ছে এ ব্যাপারে কিছু বলতে গেলে বড় বড় আওমিলিগের নেতা হুমকি দিয়ে আসছে, সধারন মানুষ অসহায়, আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান, পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আমাতুল করিম।

পরে আইনজীবী মনজিল মোরসেদ জানান, আদালত এ বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। আদালত বলেছেন কেউ এখন জেগে ঘুমাতে পারবে না।

কারণ বায়ুদূষণের কারণে পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়েছে।আদালত প্রশ্ন তুলে বলেছেন পরিবেশ অধিদপ্তর কতটুকু ক্ষমতা প্রয়োগ করছে বায়ুদূষণ বন্ধে? আদালত আদালত আরও বলেছেন, সেমিনার করে ভালো ভালো কথা বললে এখন হবে না, বায়ুদূষণ বন্ধে কার্য়কর পদক্ষেপ নিতে হবে।

ঢাকা শহর ও আশেপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ বন্ধে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট করে।

ওই জনস্বার্থের রিট মামলায় গত ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি ৯ দফা নির্দেশনা জারি করে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।মনজিল মোরসেদ জানান, ওইসব নির্দেশনাগুলো বাস্তবায়নে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হলে বায়ুদূষণ কিছুটা কমতে থাকে কিন্তু বর্তমানে ঢাকা শহর আবার সর্বোচ্চ বায়ুদূষণের শহর হওয়ার সংবাদ মিডিয়ায় প্রকাশিত হলে এইচআরপিবির পক্ষে এক সম্পূরক আবেদন দাখিল করে অবৈধ ইটভাটা বন্ধে নির্দেশনার আবেদন জানানো হয়।