ঢাকা বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস, জামালপুর মাদারগঞ্জ ভূমি অফিস ও পরিবার পরিকল্পনা ঝিনাইদহ অফিসে ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে দুদকের অভিযান

অন্যান্য এইমাত্র

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল রবিবার ১০ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা সহ ৩টি অভিযান পরিচালনা করেছে এবং ৭টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করেছে!!


বিজ্ঞাপন

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ বিভাগীয় পাসপাের্ট ও ভিসা অফিস, আগারগাঁও, ঢাকা-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপাের্ট প্রদান ও নবায়ন বাবদ ঘুষ দাবির অভিযােগের প্রেক্ষিতে অভিযাগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নূর আলম সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একটি টিম গতকাল রবিবার ৬ ই মার্চ পাসপোর্ট অফিসে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে অভিযোগের সাথে সম্পর্কীত তথ্যাদি সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত তথ্য ও দৃশ্যমান বাস্তবতা বিশ্লেষণপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবেন ।

জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নাজিরের বিরুদ্ধে নামজারিসহ অন্যান্য গ্রাহকসেবা প্রদানে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, টাঙ্গাইলের কোর্ট পরিদশর্ক মোঃ জাহিদুল ইসলাম ও সহকারী পরিদশর্ক শামীম খন্দকার এর নেতৃত্বে আজ একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্য উদঘাটনের জন্য সরেজমিনে ভূমি অফিসে প্রথমে ছদ্মবেশে তথ্য সংগ্রহ ও সেবাগ্রহিতাদের সাথে কথা বলে এবং পরবর্তীতে অভিযোগকারীকে সাথে নিয়ে ভূমি অফিসে অভিযান পরিচালনা করে। ভূমি অফিসের নাজির অভিযোগকারীর নিকট থেকে নামজারির জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ১১৭০ টাকার পরিবর্তে ২৫০০ টাকা গ্রহণের কথা স্বীকার করে। নামজারি ফি এর অতিরিক্ত টাকা পরবর্তী কর্মদিবসে অভিযোগকারীর নিকট ফিরিয়ে দিয়েছে বলে এনফোর্সমেন্ট টিমকে জানায়। অভিযানকালে দুদক টিম অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে এবং অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাইপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, কালীগঞ্জ, ঝিনাইদহ-এর বিরুদ্ধে অধীনস্থ কর্মচারীদের নিকট হতে এসিআর প্রদান ও টিএ/ডিএ বিল অনুমােদন, জিপিএফ ফান্ড থেকে ঋণ প্রদান বাবদ ঘুষ দাবির অভিযােগে আখতারুজ্জামান,সহকারী পরিচালক, দুদক, সজেকা, যশোরের নেতৃত্বে ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার অফিসে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তারা সকলেই অল্প পরিমাণ অতিরিক্ত টাকা গ্রহণসহ কিছু ভুল-ত্রুটি করেন তা অকপটে স্বীকার করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অপরাধ আর করবেন না বলে দুদক টিম এর নিকট মুচলেকা দিয়েছেন। প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশসহ বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর প্রেরণ করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।