দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট কর্তৃক ১১টি অভিযোগের বিষয়ে ৪ টি অভিযান পরিচালনা সহ ৭ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ

Uncategorized আইন ও আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের অধীনস্থ সমগ্র আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের জমাকৃত আবেদনের বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্স এর কয়েকজন কর্মচারীর সহযোগিতায় গোপন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আর্থিক/ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রণজিৎ কুমার কর্মকার ও সাহিদুল রহমানের সমন্বয়ে ৩ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম সোমবার ১৮ এপ্রিল, একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। দুদক টিম অভিযোগ যাচাই ও সত্যতা উদ্‌ঘাটনের জন্য সরেজমিনে আগাঁরগায়ের পাসপোর্ট অফিসের প্রধান কার্যালয় এবং ই-পাসপোর্ট কমপ্লেক্স, উত্তরা অফিস পরিদর্শনপূর্বক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেন এবং উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের উপস্থিতিতে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মোবাইল ফোন ফরেনসিক পরীক্ষা করার জন্য জব্দ করা হয়। অভিযানকালে বেসিক সেন্ট্রাল ক্লিয়ারেন্সে কর্মরত কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সাথে দালাল বা দুর্নীতিবাজ সিন্ডিকেটের নিয়মিত যোগযোগ ও আর্থিক লেনদেনের সত্যতা প্রাথমিকভাবে টিমের নিকট প্রতীয়মান হয়েছে। বিকাশ, নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে দুর্নীতির অর্থ লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। টিম এই দুর্নীতির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে। অভিযানকালে প্রাপ্ত তথ্য-প্রমাণ যাচাইপূর্বক কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করবে দুদক এনফোর্সমেন্ট টিম।

মাদারীপুর, রাজৈর উপজেলার, বাজিতপুর ইউনিয়ন এর ০৭নং ওয়ার্ডের আওতাধীন বুলগির বিলের দেড় কিলোমিটার খাল খনন ও কমলাপুরের আড়াই কিলোমিটার খাল খনন প্রকল্পের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে খাল খননের কাজ সম্পন্ন না করেই সম্পূর্ণ বিল উত্তোলনের অভিযোগে সোমবার ১৮ এপ্রিল একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন মোঃ আতিকুর রহমান, উপ-পরিচালক ও আখতারুজ্জামান, সহকারী পরিচালক, সজেকা, মাদারীপুর এর সমন্বয়ে গঠিত একটি টিম। অভিযোগের বিষয়ে সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয় এবং খনন কাজ পরিমাপ করা হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিষয় এর বিস্তারিত কাগজপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন কবে পেশ করবে দুদক টিম।

পাবনা জেলার ভাঙ্গুরা উপজেলাধীন পৌর এলাকায় সরকারি জমি দখল করে ভবন নিমার্ণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, পাবনা’র সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্র ধর এর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক সরেজমিনে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোড, পাবনা’র উপসহকারী প্রকৌশলী ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। অভিযান পরিচালনা কালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মো: রেজ্জাকুল হায়দার (চন্টু), সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপাশা হোসাইন ও বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাবনা’র উপসহকারী প্রকৌশলী জনাব আলামিন হোসাইন ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুল মমিন-গণকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পাবনা’র উপসহকারী প্রকৌশলী আলামিন হোসাইন ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আব্দুল মমিন জানান যে, অভিযোগে উল্লিখিত নিমার্ণাধীন ভবনটি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পত্তিতে নির্মাণ করা হয়নি। উক্ত নির্মাণাধীন ভবণের বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিপাশা হোসাইন জানান যে, অভিযোগে উল্লিখিত নিমার্ণাধীন ভবনটি অবৈধভাবে বাংলাদেশ সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে সরকারের ১ নং খাস খতিয়ানে অবৈধভাবে ভবণ নির্মাণের অভিযোগটি সত্য মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে বিস্তারিত প্রতিবেদন শীঘ্রই দাখিল করা হবে।
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, পীরগঞ্জ, রংপুর-এর বিরুদ্ধে তিন প্রকল্পের ভুয়া ছবি দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ এবং পিআইও’র নেতৃত্বে সিন্ডিকেট চক্রের অপকর্মের অভিযােগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, রংপুর এর উপ-সহকারী পরিচালক এ কে এম নূরে আলম সিদ্দিক এর নেতৃত্বে সোমবার রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদসহ অভিযোগে উল্লেখিত প্রকল্পের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে রেকর্ডপত্র যাচাই করা হয় এবং সরেজমিনে প্রকল্প পরিদর্শন করা হয়। দুদক টিম কর্তৃক সরেজমিনে পরিদর্শন এবং স্থানীয়দের সাথে কথা বলে প্রকল্পের কাজ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়নি মর্মে প্রতীয়মান হয়েছে। অভিযান প্রসঙ্গে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৭টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন