বিজিবি’র অভিযানে ১.০৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৪০,০০০ পিস ইয়াবা সহ ২ জন আটক

Uncategorized অপরাধ

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন(২ বিজিবি) কর্তৃক নাফ নদীতে অভিযান পরিচালনা করে ৬,৪০,৩৫,০০০/-(ছয় কোটি চল্লিশ লক্ষ পয়ত্রিশ হাজার) টাকা মূল্যমানের ১.০৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ৪০,০০০ পিস ইয়াবাসহ ২ জন মাদক পাচারকারী আটক করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ২৮ এপ্রিল, রাতে বিজিবি’র টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, অত্র ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ দমদমিয়া বিওপি’র দায়িত্বপূর্ণ বিআরএম-৮ হতে আনুমানিক ০২ কিঃ মিঃ উত্তর-পূর্ব দিকে জালিয়ারদ্বীপ এলাকার পার্শ্ববর্তী নাফ নদীর সীমান্ত দিয়ে মাদকের একটি চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে পাচার হতে পারে।

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) এর ব্যাটালিয়ন সদর হতে একটি বিশেষ টহল নাফ নদীর জালিয়ারদ্বীপ এর কেওড়া বাগানে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করে দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষারত থাকে।

আনুমানিক রাত ১ টার সময় বিজিবি টহলদল একজন ব্যক্তিকে জালিয়ারদ্বীপের পার্শ্বে নাফ নদীতে ছদ্মবেশ ধারণ করে কাঠের নৌকায় করে জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখতে পায়।

উক্ত সময় টহলদল মায়ানমার থেকে একজন চোরাকারবারীকে সাঁতরিয়ে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জালিয়ারদ্বীপে বর্ণিত জেলের কাছে এসে একটি বস্তা হস্তান্তর করলে পূর্ব থেকেই কৌশলগত অবস্থানে থাকা বিজিবি টহলদল উক্ত ব্যক্তিদ্বয়কে চারিদিক থেকে স্পীডবোটের মাধ্যমে ঘেরাও করে আটক করতঃ তাদের নিকট থেকে ১টি বস্তা জব্দ করে এবং উক্ত বস্তা থেকে ১.০৪০ কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস ও ৪০,০০০ (চল্লিশ হাজার) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে।
এছাড়াও আটককৃত আসামীদের নিকট হতে ১টি কাঠের নৌকা, ১টি মোবাইল ফোন এবং মাছ ধরার জাল জব্দ করা হয়।
যার সিজার মূল্য আনুমানিক ৬,৪০,৩৫,০০০ (ছয় কোটি চল্লিশ লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার) টাকা ।

আটককৃত মাদক পাচারকারীরা যথাক্রমে, মোঃ সিরাজুল ইসলাম (২৮), পিতা-মোঃ আবুল কাশেম, মাতা-মৃত ফাতেমা খাতুন, ২৪নং মোচনী বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক ক্যাম্প, ব্লক-এ/১, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার এবং সৈয়দ সালাম (৩৮), পিতা-মোঃ ফারুক আহমেদ, মাতা-মৃত ফাতেমা খাতুন, ২৬নং জাদিমোড়া বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিক ক্যাম্প, ব্লক-ডি/৩, এফসিএন নম্বর-২৭৪৯১২, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।

আটককৃত আসামীদেরকে জব্দকৃত ক্রিস্টাল মেথ আইস এবং ইয়াবা ট্যাবলেট বহন ও পাচারের দায়ে নিয়মিত মামলার মাধ্যমে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমান সরকারের মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির যথাযথ বাস্তবায়নকল্পে মাঠ পর্যায়ে বিজিবি’র অভিযানিক কর্মকাণ্ড এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। মাদক নির্মূলে বিজিবি’র প্রতিটি সদস্য দিনরাত নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেকোনো মূল্যে দেশকে মাদকমুক্ত করার ব্যাপারে বিজিবি সর্বদা বদ্ধপরিকর।


বিজ্ঞাপন