পিরোজপুরে নওরোজ পত্রিকার সাংবাদিক মাসুম সরদারের উপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলা

Uncategorized অপরাধ

সুমন হোসেন, (বিশেষ প্রতিনিধি) খুলনাঃ পিরোজপুর সদর ৫নং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সাংবাদিক মাসুম সরদার ও তার ছেলে মোহাম্মদ মুনিম সরদারকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাথার উপরে আঘাত করে আহত অবস্থায় মৃত মনে করে ফেলে রেখে গেছে। এ সময় মাসুমের শালা সজীব ঢালী ও তার শাশুড়ির পরে হামলা করে সন্ত্রাসীরা। তবে সাংবাদিক মাসুম সরদার গুরুতর আহত অবস্থায় পিরোজপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন, এ খবর প্রতক্ষদর্শী একটি সুত্রের।

ঘটনার প্রতক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রের খবর শুনে ৫নং টুনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরান আলম খান হারুন রক্তাক্ত অবস্থায় সাংবাদিক মাসুম সরদারকে হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হামলাকারীরা হলেন আরাফাত শেখ, পিতা-সহিদ শেখ,বাবু দরানী, পিতা-মজীদ দরানী, অনিক দরানী, পিতা- দিলু দরানী,ইয়াছিন শেখ, পিতা- সহিদ শেখ, জাকারিয়া, পিতা- হারুন শেখ, মইনুদ্দিন, পিতা- রুহুল শেখ, হাসনা বেগম, স্বামী- সহিদ শেখসহ আরও নাম না জানা অনেক মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা।

হামলার শিকার হওয়া সাংবাদিক মাসুম সরদারবলেন, আমি একটি ইউটিউব EB Chanell এর নিউজ পোর্টাল চালায় এবং ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক নওরোজ পত্রিকায় খুলনা থেকে স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে সাংবাদিকতা করি।

যে কারনে মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তথ্য সংগ্রহ করার জন্যে ও অল্প বয়সী ছেলেদের মাদক সেবন করার প্রতিবাদ করায় আমার উপর কিছু সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে পরিকল্পিত ভাবে ঈদ উল ফিতরের দিন সকালে আমার উপর অতঃকিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা।

ইয়াসিন, আরাফাত, বাবু দরানি, অনিক দরানি, জাকারিয়াসহ আরো অনেকে আমার ছেলে মোহাম্মদ মুনিমকে মারপিট করছিলো।

এ সময় আমার শালা সজীব ঢালী ও আমার শাশুড়ি মুনিমকে বাঁচাতে আসলে তাদের ওপরও সশস্ত্র হামলা চালায় তারা। তবে আমি সহ আমার পরিবারের উপরে যারা হামলা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।


বিজ্ঞাপন