কেন ও কিভাবে রোগ হয়

Uncategorized আন্তর্জাতিক

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, আমাদের শরীরে যখন ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত বস’ উৎপন্ন হয়, তখন সেসব বিষাক্ত বস’র বিষক্রিয়ায় শরীরের সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়।

এই বিষাক্ত বস’গুলোকে বলা হয় ‘আমা’ (Ama)। ‘আমা’ হলো আঁঠালো শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ, যা আমাদের দেহে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের আংশিক বা অসম্পূর্ণ হজমের ফলে উৎপন্ন হয়। এ আমা আমাদের শরীরের মূল সারবস্তু’গুলোর (বাতা, পিত্ত ও কাফা) ভারসাম্যতা নষ্ট করে এবং শরীরে সৃষ্টি করে রোগব্যাধি।

‘আমা’ শুধু আমাদের শরীরের মূল সারবস্তু’গুলোর (বাতা, পিত্ত ও কাফা) ভারসাম্যতা নষ্ট করে এবং শরীরে সৃষ্টি করে রোগব্যাধি। ‘আমা’ শুধু আমাদের দেহে রোগ বা জটিলতা সৃষ্টিই নয়, বরং অকালবার্ধক্যেরও সৃষ্টি করে।

আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, খাদ্যদ্রব্যের আংশিক বা অসম্পূর্ণ হজম বা বিপাকের (Metabolism) ফলে উৎপন্ন আঁঠালো শ্লেষ্মাজাতীয় পদার্থ বা ‘আমা’ দেহে রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ। আর চীনা লোকজ চিকিৎসাশাস্ত্রে এক ‘অদৃশ্য শ্লেষ্মা’-কে বলা হয়েছে রোগের মূল কারণ।

এ প্রাচীন তথ্যগুলোর ওপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা অসংখ্য গবেষণা পরিচালনা করেন। সেসব গবেষণাপ্রসূত ফলের ওপর ভিত্তি করে আজ তারা বলেছেন, সেই ‘আমা’ বা অদৃশ্য শ্লেষ্মাই ইচ্ছে রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল ও লিপিড।
গবেষণায় আর দেখানো হয়, এই কোলেস্টেরল ও লিপিড শ্লেষ্মাধর্মী ও আঠালো। এর ফলে এগুলো রক্তনালীতে জমে রক্তনালী পুরু করে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করে। আর এর ফলে শরীরে ক্যান্সার, হৃদরোগ, বাত রোগ সৃষ্টি হয় এবং শরীর অকালেই বার্ধক্য জরাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।

‘আমা’ এর ফলে সৃষ্ট রোগসমূহ
‘আমা’ বা আঁঠালো শ্লেষ্মাধর্মী বস’টির বৈশিষ্ট্য আজো আমাদের কাছে পরিপূর্ণভাবে স্বচ্ছ নয়। কিন’ গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায়, এই ‘আমা’ই বাতা (Vata), পিত্ত (Pitta) ও কাফার (Kapha) মধ্যকার সাম্যাবস’া বিনষ্ট করে শরীরে রোগ সৃষ্টি করে। ‘আমা’ শরীরে যেসব রোগ বা জটিলতা সৃষ্টি করে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিম্নে দেয়া হলো-
১. বদহজম ২. কোষ্ঠকাঠিন্য ৩. ক্যান্সার ৪. ডায়াবেটিস ৫. উচ্চ রক্তচাপ ৬. হৃদরোগ ৭. শ্বাসকষ্ট ৮. শোথ রোগ ৯. রোগপ্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া ১০. অকালবার্ধক্য ১১. যকৃৎ বা লিভারে সমস্যা ১২. ক্রমাগত মাথাব্যথা ১৩. দৃষ্টিশক্তি হ্রাস ১৪. শারীরিক শক্তিসহ আরো অসংখ্য রোগ।


বিজ্ঞাপন