নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গত ১ জানুয়ারি সকালে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তার বাবার নিকট হতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিস্টার ফ্রি দেওয়ার জন্য ৪০,০০০ টাকা নিয়ে স্থানীয় বিকাশের এজেন্ট হতে উক্ত টাকা নিজের বিকাশ একাউন্টে ক্যাশইন করে।
বিকাশ প্রতারকরা তাকে কল করে বিকাশ অফিসের কর্মকর্তা সেজে ওটিপি নিয়ে তার একাউন্টে থাকা ৪০ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে একাউন্টটি সচল করার জন্য কৌশলে আরোও ৭১ হাজার টাকা সহ মোট এক লাখ এগারো হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এর প্রেক্ষিতে উক্ত ছাত্রটি সেমিস্টার ফি দিতে ব্যর্থ হলে সে উক্ত সেমিস্টার ড্রপ করতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে সিটি-সাইবারে আভিযোগ করা হলে, বিকাশ তথ্য বিবরনী এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা যায় যে, অপরাধী চুরির টাকা বিভিন্ন দোকানে মটর সাইকেলে ঘুরে ঘুরে ক্যাশ আউট করত। এই রকম বিভভিন্ন দোকান এর সিসি ফুটেজে অপরাধীর পালসার মটর সাইকেলের নম্বর পাওয়া যায়।
পরে মটর সাইকেলের প্রকৃত মালিকের সাথে যোগাযোগ করলে জানা যায় যে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে মটর সাইকেলটি চুরি যায়। সেই চোরাই মটর সাইকেল দিয়েই একদল প্রতারক প্রতারনার টাকা বিভিন্ন বুথ ও দোকান থেকে ক্যাশ আউট করত।
উক্ত চোরাই মটর সাইকেলের আরো বিস্তারিত খোঁজ করা হলে জানা যায় যে মটর সাইকেলটি ২০২০ সালে একটি ট্রাফিফ কেইস এ অভিযুক্ত হয়।
উক্ত কেইস স্লিপ থেকে প্রাপ্ত মোবাইল নাম্বারের সূত্র মোতাবেক এসি ধ্রুব জ্যোতির্ময় গোপ এর নেত্রত্বে ইন্টারনেট রেফারেল টিম ৩ জন আসামীকে ঢাকা ও শ্রীপুর থেকে গত মার্চ মাসের ৮ ও ৯ তারিখে গ্রেফতার করা হয়।
এদের তথ্যের ভিত্তিতে মূল আসামী গতকাল মোঃ নাঈম হাসান (২৭) কে বৃহস্পতিবার ১২ মে, ভোর ০৬.৫০ মিনিটে ফতুল্লা, নারায়নগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের কাছ থেকে ৬৫ টি ভুয়া নিবন্ধিত সিম ও অপরাধে ব্যবহৃত দুটি আইফোন জব্দ করা হয়। গ্রেফতার কৃত ব্যক্তি ১০ বছর ধরে এই ধরনের অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
এই বিষয়ে হাজারীবাগ থানার মামলা নং ৩৮, তারিখ ২০/০১/২০২২ , ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩/২৪/৩৫ ধারায় মামলা রজু করা হয়।
