!!দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল মঙ্গলবার ৮ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৫ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপােরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লঞ্চের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বাজার মূল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে ক্রয়ের, অপ্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়নের নামে অর্থ আত্মসাত সহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা’তে অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া ও উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ কামিয়াব আফতাহি-উন-নবী’র সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গতকাল মঙ্গলবার ১৭ মে, এই অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানকালে অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা’র পরিচালক (প্রশাসন) সহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তাদের সাথে টিম কথা বলে এবং সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহপূর্বক পর্যালোচনা করে। রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
মৌলভীবাজার জেলার মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের বিভিন্ন কেন্দ্রের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পাঠদান ছাড়াই নিয়মিত বেতন উত্তোলনের অভিযােগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, হবিগঞ্জের সহকারী পরিচালক শোয়াইব হোসেন এর নেতৃত্বে গতকাল মঙ্গলবার ১৭ মে, অপর একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। দুদক টিম সরেজমিনে উক্ত দপ্তরে পরিদর্শন করে এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র সংগ্রহ করেছে। সংগ্রহীত রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর উপস্থাপন করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে
“৫০ কোটি টাকার পানি শোধনাগার এক সপ্তাহ না চলেই বিকল” শিরোনামের অভিযোগের বিষয়ে দুদক, সজেকা, বরিশালের সহকারী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান-এর নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে রুপাতলী পানি শোধনাগারটি সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। পরিদর্শনে দেখা যায় যে, উক্ত শোধনাগারটি দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকায় উহার কিছু যন্ত্রপাতিতে মরিচা ধরেছে। বেলতলাস্থ পানি শোধনাগার কেন্দ্রের অবস্থাও একই রকম মর্মে জানা গেছে। অভিযানকালে নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, বরিশালের কার্যালয় এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশন থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সংক্রান্ত কিছু রেকর্ডপত্রের ছায়ালিপি সংগ্রহ করা হয়েছে। সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন শীঘ্রই দাখিল করা হবে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৫টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।