!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গত বুধবার ৬টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২টি অভিযান পরিচালনা করা সহ ৪ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে!!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শিবালয়, মানিকগঞ্জ-এর পরিসংখ্যানবিদের বিরুদ্ধে আপ্যায়ন ও অ্যাম্বুলেন্স মেরামত বাবদ বরাদ্দৃকত অর্থ ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে গত বুধবার ২৫ মে, দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে অভিযোগ বিষয়ে বিভিন্ন রেকর্ডপত্র সরবারহ করতে বলা হয় এবং উক্ত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তার সাথে অভিযোগ বিষয়ে কথা বলে দুদক টিম। নথিপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে যাচাই-বাছাইপূর্বক খুব দ্রুত এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ, বগুড়া-এর অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ফি বাবদ শিক্ষার্থীদের নিকট হতে আদায়কৃত অর্থ ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে অর্থ উত্তোলনপূর্বক আত্মসাতের অভিযোগে দুদক, সজেকা, বগুড়ার সহকারী পরিচালক নূর আলম ও কামরুজ্জামান এর সমন্বয়ে গঠিত টিম বুধবার ২৫ মে, অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ, বগুড়ায় ঘটনাস্থল সরেজমিনে পরিদর্শন করে দুদক টিম। অভিযানকালে সরকারি শাহ্ সুলতান কলেজ এর অধ্যক্ষ প্রফেসর মো: শহিদুল আলম এর বক্তব্য গ্রহণ করা হয় এবং অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়েছে। অভিযোগে বর্ণিত ১২ (বার) টি সরকারি খাত এবং ১৬ (ষোল) টি বেসরকারি খাতের মধ্যে (১) রাসায়নিক দ্রব্যাদি ক্রয়, (২) গবেষণা সরঞ্জামাদি ক্রয়, (৩) দ্ররিদ্য তহবিল ও (৪) চিকিৎসা তহবিল সংক্রান্ত খাতের ব্যয়ের রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করা হয়। রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনায় ও যাচাই করে দেখা যায়, উক্ত ৪ (চার) টি খাতে কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অবশিষ্ট খাতের রেকর্ডপত্র ও তথ্যাদি পর্যালোচনা ও যাচাই করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।