জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের চিকিৎসা সেক্টরে সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ জাতীয় বক্ষব্যাধি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল বাংলাদেশের চিকিৎসা সেক্টরে সবচেয়ে প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান যার বর্তমান শয্যা সংখ্যা মাত্র ৬৭০ টি। যেখানে সারা দেশ থেকে আগত বক্ষব্যাধির মেডিসিন ও সার্জারি বিষয়ক রোগীরা ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরমধ্যে ৭০ শয্যা বিশিষ্ট জাতীয় অ্যাজমা সেন্টারটি বর্তমান সরকারের পরিকল্পনা মাফিক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় আরো ২০০ শয্যা সংযোজন ও যাবতীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহের প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। এই অ্যাজমা সেন্টারে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি (EBUS CRYO. APC) সম্বলিত Interventional Pulmonology Department চালু আছে। যার মাধ্যমে ফুসফুসের ক্যান্সারসহ জটিল রোগসমূহের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। একে আরো আধুনিকায়ন করার জন্য সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। এতে করে অত্র প্রতিষ্ঠানের চিকিৎসার মান ও পরিধি বৃদ্ধিতে যা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। এই হাসপাতালের জটিল ও মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য মাত্র ১০ শয্যাবিশিষ্ট রেসপিরেটরী আইসিইউ চালু আছে, যা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। করোনা মহামারিকালে অত্র প্রতিষ্ঠান এই অপর্যাপ্ত কাঠামোর মধ্যেও সকল চিকিৎসক, নার্স ও সর্বস্তরের কর্মচারীরা দক্ষতার সাথে চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন।
সার্বিক প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় অত্র প্রতিষ্ঠানে ৫ শয্যার সার্জারী আইসিইউ সহ ১৫ শয্যা বিশিষ্ট আরো নতুন আইসিইউ ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে ল্যাবরেটরী মেডিসিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মানসম্মত সেবা প্রদানের লক্ষ্যে অত্র প্রতিষ্ঠানের ল্যাবরেটরী মেডিসিন বিভাগকে সংস্কারের মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যা সময়পোযোগী ও প্রশংসার দাবীদার। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে ২৪ ঘন্টা সেবা দানের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। দেশের সার্বিক চিকিৎসা সেবা চাহিদার প্রেক্ষিতে এই ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের কলেবর বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নতুন পদ সৃষ্টির জন্য অত্র প্রতিষ্ঠান থেকে মন্ত্রণালয়ে প্রেরিত আবেদন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাসহ দ্রুততার সাথে অগ্রবর্তী করা হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের জাতীয় অ্যাজমা সেন্টার চত্বরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি দৃষ্টিনন্দন ম্যুরাল সরকারীভাবে স্থাপন করা হয়েছে।
এই ম্যুরালের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবায় বঙ্গবন্ধুর দূরদৃষ্টি পরিকল্পনা, বর্তমান সরকারের সাধিত দুর্বার অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি, বাংলাদেশের ইতিহাস ও গ্রাম বাংলার সকলের সম্পৃক্ততা তথা চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত সকলের চিন্তা চেতনার প্রস্ফুটিত হয়েছে।

ফুসফুসের অপারেশনের জন্য এই হাসপাতাল সারা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিষ্ঠান। থোরাসিক সার্জারির এখানে সব ধরনের অপারেশন হয়ে থাকে। সার্জারীর পর কিছু রুগীর জটিলতা হতে পারে। তাই সমস্ত রুগীর সুষ্ঠু চিকিৎসায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ৫ (পাঁচ) বেডের একটি সার্জারী আই.সি.ইউ বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করলেন ।
জাহিদ মালেক এমপি, মাননীয় মন্ত্রী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

এ সময় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা আককাস আলী সেখ উপস্থিত ছিলেন।


বিজ্ঞাপন