মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলে পোল্টি মুরগি ব্যবসায়ী মিলন সাহা’র অভিনব প্রচারণা,ওজনে কম দেয়াসহ মরা মুরগি বিক্রি করার অভিযোগে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে শালিস মিমাংশার মাদ্ধমে রফাদফার অভিযোগ। রুপগঞ্জ বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মিলন সাহা’র এমন ন্যাক্কার জনক কর্মকান্ড করে বাজারের ব্যবসায়ীদের সন্মান নষ্ট করেছে। মিলন সাহা’র কঠিন বিচার হওয়া উচিৎ,টাউট, চোঁর,বাটপার,মিলন সাহা ওজনে মুরগি কম দেয় ও বড় বড় অর্ডারে মরা মুরগি দেয় বলে প্রমান পাওয়া গেছে এবং অপরাধী মিলন সাহা’র বিচার চান ব্যবসায়ীগণ। এ ঘটনা জানাজানি হলে মূহুর্তের মধ্যে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ব্যবসায়ীগণ সহ বাজারের আসে পাসের লোক জন এগিয়ে আসলে বাজার কমিটির সদস্যগণ তাৎক্ষণিক বাজারে বসে মিলন সাহাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন বলে,বাজারের ব্যবসায়ী সদস্যগণ এ প্রতিবেদককে জানান। যানা যায়,গত (২ জুন) বুধবার বিকালে নড়াইল পৌর-সভার ব্রাম্মনডাঙ্গা গ্রামের হিমায়েত হোসেন নামের এ ব্যেক্তী,নড়াইল রুপগঞ্জ বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মিলন সাহা এর মুরগির দোকানে এসে ১৩টি মুরগির অর্ডার দেন। এসময় মুরগির দোকানদার মিলন সাহা ১৩টি মুরগি দেয়ার যায়গায় ১২টি মুরগি দিলেও তার মধ্যে ২টি পুকা ধরা মরা মুরগি দিয়ে দিলে মুরগি ক্রেতা হিমায়েত হোসেন দেখতে পেয়ে এবং এমন নেক্কার জনক কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে ভন্ড,চোঁর,প্রতারক,
দোকান মালিক মিলন সাহা’র উপরে ক্ষিপ্ত হলে মিলন সাহা সকলের সামনে সত্যতা শিকার করে এ সময় দুজনার মদ্ধে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসে পাসের ব্যবসায়ী’রা এগিয়ে আসলে ওজনে কম ও মরা মুরগি দেয়ার জন্য ব্যবসায়ীসহ ক্রেতা হিমায়েত হোসেনের কাছে ক্ষমা চান,টাউট মুরগি ব্যবসায়ী মিলন সাহা। কিছু সময় পরে বাজার কমিটি শালিসের মাধ্যমে মিলন সাহাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ন্যাক্কার জনক ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ব্যবসায়ী’রা জানান,এটা কেমন ব্যবসা,কাষ্টমারকে এমনিতেই মুরগি কম দিয়েছে তার পরেও আবার ২টি মরা মুরগি দেয়ার সাহস কিভাবে পায় চোঁর মিলন সাহা। এখনি আইনের মাদ্ধমে মিলন সাহা’র বিচার না করা হলে এমন কাজ মিলন সাহা প্রতিনীয়ত করতেই থাকবে,১০ হাজার টাকা জরিমানা করা কোন বিচার হতে পারে না,এটা আইনের ব্যপার,আইন এর সঠিক বিচার করবে বলেও জানান। মিলন সাহা এর আগেও অনেক বার মরা মুরগি বিক্রি করেছে এবং এক পুলিশ সদস্যকে মরা মুরগি দেয়ার ঘটনায় শালিসের মাধ্যমে মিমাংসা হয়েছে। এদিকে রুপগঞ্জ বাজারের মুরগি বাজারে মুরগি ওজনে কম দেয়াতে অনেক বার ঝামেলা মারামারিসহ শালিস মিমাংসা হয়েছে এবং মুরগি ওজনে কম দেয়াকে কেন্দ্র করে কাষ্টমারকে কুপিয়ে রক্তক্ষয়ী যক্ষমের ঘটনাও ঘটিয়েছে বলে জানা যায়।
ক্রেতা সাধারনের অভিযোগ,আমরা বিশ্বাস করে দোকানদারদের থেকে মুরগি কিনে নিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খাওয়া দাওয়া করি,এভাবে ওজনে কম দেয়া ও মরা মুরগি বিক্রি করা কঠিন অপরাধ,আইনের মাধ্যমে চোঁর,বাটপার,টাউট ব্যবসায়ী মিলনের বিচার করার জোঁর দাবী জানান। মুরগি ব্যবসায়ী মিলন সাহা,এ প্রতিবেদককে ঘটনার সতত্যা শিকার করে জানান,আমি এমন কাজ আর করবো না,হিমায়েত হোসেন ভাই এর সাথে আমার ঝামেলা মিটে গেছে আর কোন ঝামেলা নাই,এখন আপনি শুধু শুধু ঝামেলা বাড়াচ্ছেন কেন। ১০ হাজার টাকায় মিমাংসার বিষয়ে জানতে চাইলে মিলন সাহা আরো জানান,আকরাম ভাই থেকে আমাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে মিমাংসা করে দিয়েছে এবং আমার দোকান বন্ধ করে দিয়েছে বলেও জানান।ভুক্তোভোগী নড়াইল পৌর-সভার ব্রাম্মনডাঙ্গা গ্রামের হিমায়েত হোসেন এ প্রতিবেদককে জানান,আমি মুরগি কিনতে রুপগঞ্জ বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মিলন সাহা এর মুরগির দোকানে গিয়ে দামে দরে পোটলে আমি ১৩টি মুরগির অর্ডার দিলে ১৩টি মুরগি আমার সামনেই জবাই করে এবং কিছু সময় পরে দেখি আমাকে ১৩টি মুরগির যায়গায় ১টি মুরগি কম দিয়ে ১২টি মুরগি দেই এবং তার মধ্যে ২টি মরা মুরগি যার সরিরে পুকা বেয়ে বেড়াচ্ছে দিলে,আমি দোকানদার মিলন সাহা’র কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে প্রথমে তর্কে করলেও পরে ২টি মরা মুরগি ও ১টি মুরগি কম দেয়ার কথা বাজারের সকলের সামনে শিকার করে। এমন চোঁর বাটপার,টাউট দোকানদারের কঠিন বিচার দাবি করছি বলেও জানান। এ বিষয়ে রুপগঞ্জ বাজারের কাঁচামালের আড়ৎ ব্যবসায়ী মো:আকরাম বিশ্বাস ঘটনার সতত্যা শিকার করে সাংবাদিকদের জানান,ঝামেলা চেচামেচি দেখে এবং পুলিশ সদস্য’রা এসে মিলন সাহাকে আটক করার চেষ্টা করলে বাজারের বিষয় বলে আমি শান্তিপ্রিয় ভাবে সকলের উপস্থিতিতে মিমাংসার মাধ্যমে মিলন সাহাকে সাজা সরুপ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করি এবং মিলন সাহা’র দোকান বন্ধ করে দেই বলেও জানান।