নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ পদ্মা সেতুতে চলার সময় গাড়িতে আগুন লাগলে তা নেভানোর ব্যবস্থা থাকছে। সেতুর দুই প্রান্ত মাওয়া ও জাজিরায় থাকবে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম। সেতুর নিচতলায় (লোয়ার ডেক) ট্রেন চলার সময় দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীদের নিরাপদ বহির্নির্গমনে রয়েছে বের হওয়ার সিঁড়ি। সেতুর ওপরে যানবাহন দুর্ঘটনায় পতিত হলে, তা সরাতে সেতুর দুই প্রান্তে থাকছে রেকার কার। সেতুর দুই পাড়ের পুলিশ থানার তত্ত্বাবধানে থাকবে রেকার কার। দুর্ঘটনায় বিকল গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হবে। কোনো গাড়িতে আগুন লাগলে নেভানোর জন্য মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তে অগ্নিনির্বাপণ সরঞ্জাম ও গাড়ি থাকবে। সেতুতে ওঠার পর বা মাঝামাঝি এলাকায় কখনও গাড়িতে আগুনের মতো দুর্ঘটনা ঘটলে দুই পাড়ের অগ্নিনির্বাপণ গাড়ি গিয়ে নেভাবে।
পদ্মা সেতুর নিচতলায় ডুয়েল গেজ সিঙ্গেল লাইনে চলবে ট্রেন। পদ্মার মূল সেতুর ১ ও ৪২ নম্বর পিলারের (খুঁটি) সঙ্গে রয়েছে নিচতলা থেকে জরুরি বহির্গমনে দুটি এক্সিট সিঁড়ি। এছাড়াও পদ্মা সেতুর মাঝে থাকছে রিমুভাল মিডিয়ান / ডিভাইডার।পদ্মা সেতুর চারলেনের সড়কে কোন কারনে একপাশের লেন বন্ধ থাকলে গাড়ি যাতে অন্য লেনে যেতে পারে অথবা জরুরি কোন কারনে গাড়ি যাতে ইউটার্ন নিতে পারে এজন্য ৬.১৫ কিলোমিটার সেতুতে ৫টি স্থানে ১৮মিটার করে এমন রিমুভাল মিডিয়ান/ডিভাইডার রাখা হইছে। এ গুলো স্টিলের তৈরি এবং চাকা লাগানো থাকবে যাতে সহজেই সরানো যায়।