পিবিআই কর্তৃক শেরপুর সদরের নিখোঁজ কিশোরী উদ্ধার

Uncategorized জাতীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ শেরপুর জেলার সদর খুনুয়া পশ্চিমপাড়া থেকে নিখোঁজ দুইবোন কিশোরী মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) ও মোছাঃ মিম (০৮) দ্বয়কে গাজীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পিবিআই, জামালপুর,এ খবর সংশ্লিষ্ট সুত্রের।

নিখোঁজ কিশোরী ভিকটিম মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) এবং মোছাঃ মিম (০৮) উভয়ের পিতা-মোঃ মানিক মিয়া, সাং-খুনুয়া পশ্চিমপাড়া, থানা ও জেলা-শেরপুরদ্বয় গত ২৬/০৪/২০২২ তারিখ শেরপুর জেলা সদর থানাধীন খুনুয়া পশ্চিমপাড়া সাকিনস্থ তাদের পিতার বাড়ী হইতে নিখোঁজ হয়।
এ সংক্রান্তে ৩০/০৪/২০২২ তারিখে নিখোঁজদের পিতা মোঃ মানিক মিয়া শেরপুর সদর থানায় ১টি সাধারণ ডায়েরী করে।
যা শেরপুর সদর থানার সাধারণ ডায়েরী নং-২৮১৩, তারিখ- ৩০/০৪/২০২২। পরবর্তীতে নিখোঁজদের পিতা মোঃ মানিক মিয়া বাদী হয়ে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন ট্রাইব্যুনাল, শেরপুরে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন পিটিশন মামলা নং-০২/২০২২, ধারা- মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ এর ৬(২) দায়ের করিলে আদালত ভিকটিমদের উদ্ধার সহ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ সুপার, পিবিআই, জামালপুর কে নির্দেশ প্রদান করেন।
পুলিশ সুপার, পিবিআই, জামালপুর জেলা এর হাওলা মতে পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ), মোঃ আবুল কালাম মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন এবং তদন্তের জন্য তৎপর হন।
পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি, বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পুলিশ সুপার এম.এম. সালাহ উদ্দীন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ), মোঃ আবুল কালাম এর নেতৃত্বে পিবিআই জামালপুরের একটি অভিযানিক টিম গতকাল সোমবার ৬ জুন তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গভীর রাতে গাজীপুর মহানগরের বাসান থানা এলাকা থেকে মামলার ভিকটিম মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) এবং মোছাঃ মিম (০৮) উভয়ের পিতা-মোঃ মানিক মিয়া, সাং-খুনুয়া পশ্চিমপাড়া থানা ও জেলা-শেরপুরদ্বয়কে উদ্ধার করে। এরপর বিধি মোতাবেক ভিকটিমদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অত্র মামলার ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমদ্বয়ের বাবা মোঃ মানিক মিয়া তার জমি সংক্রান্ত বিরোধসহ পারিবারিক বিরোধের জের ধরে কতিপয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানব পাচার আইনে মামলা দায়ের করলেও ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তাহারা প্রকাশ করে যে, ভিকটিম মোছাঃ মনিকা আক্তার মনি (১৬) অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া সত্ত্বেও তাহার বাবা একজন খারাপ প্রকৃতির ছেলে তথা তাহার এক আত্মীয়ের সাথে জোরপূর্বক বিয়ে দেওয়ার জন্য পায়তারা করিলে ভিকটিমদ্বয় বাড়ী থেকে পালিয়ে গাজিপুরে চলে যায়।
সেখানে অজ্ঞাতনামা কতিপয় ব্যক্তিদের সহায়তায় একটি গার্মেন্সেও কাজ নেয় এবং বাসান থানা এলাকায় একটি রুম ভাড়া নিয়া বসবাস করে।
উক্ত ঘটনার সাথে অন্য কারো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *