রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা, সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, মহেশপুর, ঝিনাইদহ মহেশপুর সাব-রেজিস্টার ও ফেনী জেলার লেমুয়া ইউপি’র বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ

Uncategorized আইন ও আদালত

!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গত রবিবার ৭টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ৩ অভিযান পরিচালনা করা সহ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!

বিশেষ প্রতিবেদক ঃ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলাধীন বাঘা পৌরসভার মেয়র মোঃ আবদুর রাজ্জাক ও প্রকৌশলী মোঃ শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া প্রকল্প প্রস্তুত করে জালিয়াতির মাধ্যমে পৌরসভার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, রাজশাহীর সহকারী পরিচালক মোঃ আামির হোসাইন এর নেতৃত্বে এবং উপ-সহকারী পরিচালক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন ও সহকারী পরিদর্শক মোঃ মাহবুবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত এনফোর্সমেন্ট টিম গত রবিবার ১২ জুন, একটি অভিযান পরিচালনা করেছে। টিম বাঘা পৌরসভার কার্যালয় হতে পৌরসভার আওতাধীন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কদমতলা ডব্লিউ বিএম দ্বারা রাস্তা উন্নতি করণ প্রকল্পের রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে এবং সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছে। টিম রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।

সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, মহেশপুর, ঝিনাইদহ-এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও দাম কম দেখিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক, সজেকা, যশোর-এর সহকারী পরিচালক মোঃ মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে আজ অপর একটি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযোগে বর্নিত দলিলের শ্রেনি পরিবর্তন করে সরকারি রাজস্ব ফাকি দেওয়ার বিষয়টি সত্য বলে প্রতিয়মান হয়, তবে সাব রেজিস্টার বিষয়টি অবগত হয়ে ৫৯৩৩/২১ নং দলিলসহ আরও কয়েকটি দলিল অবৈধ ভাবে সরকারি রাজস্ব ফাকি দেওয়া টাকা বিধিমোতাবেক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে আদায় করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। এ বিষয়ে রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে এনফোর্সমেন্ট টিম।

ফেনী জেলার সদর উপজেলাধীন লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আ.হ.ম মফিজ কর্তৃক বিভিন্ন সেবাগ্রহীতাদের নিকট জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু সনদ প্রদানে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, নোয়াখালী এর উপসহকারী পরিচালক জনাব মোঃ হুমায়ুন বিন আহমেদ, চিন্ময় চক্রবর্তী, কোর্ট পরিদর্শক মোঃ ইদ্রিস ও সহকারী পরিদর্শক মোঃ শরিফুল ইসলাম এর সমন্বয়ে গঠিত চার সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম কর্তৃক এক অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযানকালে জানা যায় যে, অভিযুক্ত ইউপি সচিবকে ইতিমধ্যে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। উক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ উদ্দিন নাসিম জানান, তার ইউনিয়ন পরিষদে সেবাগ্রহীতাদের সেবা প্রদানে কোন বাড়তি অর্থ প্রদান করতে হয় না। তিনি আরও জানান, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে উদ্যোক্তা রয়েছেন যাদের সরকারি খাত হতে বেতন প্রদান করা হয় না। ডিডিএলজি, ফেনী ও সদর ইউএনও স্যার এর মৌখিক নির্দেশে তারা নির্ধারিত একটি পারিশ্রমিক সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে নিয়ে থাকেন। এর কারণেই সেবাগ্রহীতারা ভাবেন তাদের কাছ থেকে বাড়তি অর্থ নেওয়া হচ্ছে যার কারণে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। টিম উক্ত ইউপি অফিসের বর্তমান সচিব সহ সকলকে বাড়তি অর্থ আদায় না করার ব্যাপারে মৌখিকভাবে সতর্ক করে। এ ব্যাপারে টিম পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ০৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *