মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ গ্রাম গঞ্জের প্রত্যান্ত আঞ্চলে তৈরি করা হচ্ছে যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রী, এসব যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রী সেবনে বিকৃত মানষিকতার শিকার হচ্ছে কোমল মতি স্কুল ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়গামী ছেলে মেয়ে রা ফলে বাড়ছে সামাজিক অবক্ষয়। দেশের ইউনানি ঔষধ কোম্পানির বিতর্কিত কিছু ঔষধ কোম্পানির মালিকেরা অতি অল্প সময়ে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিতে বেছে নিয়েছেন নকল ভেজাল যৌন উত্তেজক সিরাপ ট্যাবলেট ও ক্যাপসুল উৎপাদন ও বাজারজাতের অবৈধ পন্থা। তাই এসকল বিতর্কিত ইউনানি ও আয়ুর্বেদিক ঔষধ কোম্পানির মালিকেরা নিজেদের ঔষধের কারখানায় বিতর্কিত ঔষধ তৈরির কৌশল হিসেবে বেছে নিয়েছেন গ্রাম বাংলার প্রত্যান্ত অঞ্চল যেখানে প্রশাসনের ঝুঁকি কম ঝামেলা ও কম। প্রমান হিসেবে ফুলতলার উত্তরডিহি গ্রামের হাসান মোল্যা (৪০) এর বসতবাড়িতে অবৈধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ তৈরি ও বিকিনি’র কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। হাসান মোল্লা দীর্ঘ দিন যাবত এ ধরনের যৌন উত্তেজক ঔষধ সামগ্রীর অবৈধ উৎপাদন ও বাজারজাত করছে এই খবর পেয়ে গতকাল সোমবার ১৩ জুন খুলনার ফুলতলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া আফরিনের নেতৃত্বে সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ফুলতলায় উত্তরডিহি গ্রামের হাসান মোল্যা (৪০) এর বসতবাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। ওই বাড়ি থেকে দুই শতাধিক কার্টন যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ এবং মিকচার মেশিন জব্দ করা হয়। এ সময় নিষিদ্ধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ মজুদের অপরাধে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা ধার্য ও আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাদিয়া আফরিন ফুলতলার উত্তরডিহি গ্রামের জাকির মোল্যার পুত্র হাসান মোল্যার বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় জনস্বাস্থ্যের জন্য মারত্মক ক্ষতিকর ও পার্শপ্রতিক্রিয়া যুক্ত যৌন উত্তেজক ঔষুধ (সিরাপ) পাবনার এপেক্স ল্যবরেটরীজ ইউনানীর এ্যাপেক্স জিনসিন (শরবত জিনসিন) ভিগান ট্যাবলেট, সাফিয়া ল্যাবরেটরীজ ইউনানির জিনসা (শরবত জিনসিন) সহ বিভিন্ন ইউনানি ঔষধ কোম্পানির নকল -ভেজাল যৌন উত্তেজক সিরাপ ও ট্যাবলেট এর দুই শতাধিক কার্টন জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক মূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা। এ ছাড়া ওই বাড়িতে সিরাপ তৈরির মিকচার মেশিনও উদ্ধার করা হয়। পরে জব্দকৃত অবৈধ যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ কার্টন সহ উপজেলা চত্ত্বরে এনে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
এ সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম, কৃষি কর্মকর্তা নাজমুস সাকিব শাহিন, খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, স্যানটারী ইন্সপেক্টর দেলোয়ার হোসেন, গুদাম কর্মকর্তা পল্লব ঘোষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট সাদিয়া আফরিন গণমাধ্যম কে বলেন, অবৈধভাবে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও সিরাপ তৈরি ও বিক্রি করে এলাকার যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।