পিবিআই কর্তৃক অপহরণ মামলার আত্মগোপনে থাকা ভিকটিম উদ্ধার

Uncategorized আইন ও আদালত

সুমন হোসেন (যশোর) ঃ যশোর জেলার মনিরামপুর থানাধীন এনায়েতপুর সাকিনস্থ মোঃ আঃ কাদের (৬০) এর পুত্র মোঃ আসাদুল ইসলাম বর্তমানে মাস্টার্সে পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়ির কাজকর্ম দেখাশুনা করে।
বিবাদীরা আঃ কাদের এর নিকট ২,০০,০০০ (দুই লক্ষ) টাকা চাঁদাদাবী করে উক্ত চাঁদা আদায় করতে না পেরে গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২ সকাল অনুমান ১১ টার সময় আঃ কাদের এর বাড়ির উত্তর পার্শ্বে তিন রাস্তার মোড় হতে ৪নং বিবাদী শাহিন আলম এর নেতৃত্বে মোঃ আসাদুলের গতিরোধ করে জোরপূর্বক ভিকটিমকে মাইক্রোবাসে তুলে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঘটনার বিষয়টি ভিকটিমের পরিবার জানতে পেরে ভিকটিমের পিতা মোঃ আঃ কাদের বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, আমলী আদালত, মনিরামপুর যশোর এর সিআর মামলা নং-১৮, তারিখ-১৩/০২/২০২২ ধারা ৩৬৪/১০৯ পেনাল কোড দায়ের করেন।
আদালত উক্ত ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য পিবিআই, যশোর জেলাকে নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশ সুপার, পিবিআই যশোর জেলা এর হাওলা মতে এসআই (নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান যথারীতি মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন এবং তদন্তের জন্য তৎপর হন।
এক পর্যায়ে পিবিআই প্রধান অ্যাডিশনাল আইজিপি, বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) মোঃ মিজানুর রহমান এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল গত ১৩ জুন রাত্রি অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় গোয়েন্দা সংবাদের ভিত্তিতে এবং তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ঢাকা জেলার সাভার থানাধীন হেমায়েতপুর (দাসপাড়া) একালাস্থ মৃত মালগুনি এর স্ত্রী মোসাঃ মহিলা খাতুন (৪০) এর বাড়ি হতে ভিকটিম আসাদুল ইসলাম কে উদ্ধার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম জানায়, ভিকটিম আসাদুল ইসলাম ও তার প্রতিবেশী শমসের আলী সরদারের কন্যা জাহানারা উভয়ই একে অপরকে ভালবাসতো। জাহানারাকে বিবাহ করার জন্য ভিকটিম আসাদুল ইসলাম তার বাবা মাকে জানালে ভিকটিমের পরিবার মেনে নেবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২ সালে ভিকটিম আসাদুল ইসলাম ও জাহানারা প্রেমের টানে বাড়ি থেকে পালিয়ে সাতক্ষীরা যায় এবং সেখানে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। বিবাহের পর তারা ঢাকা সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া করে বসবাস করতে থাকে। তারপর তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

এ বিষয়ে পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন, পিবিআই যশোর জানান, দায়িত্ব পাওয়ার আমরা দীর্ঘ অনুসন্ধান করি। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তি এবং গোপণ তথ্যের ভিত্তিতে আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। এরপর তার জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *