নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠ সাথে কাজ করে আসছে।
মাদকদ্রব্য উদ্ধব ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।
বেশ কিছুদিন আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে একটি গোয়েন্দা তথ্য আসে যে, একটি চক্র আফিমের বড় চালান ঢাকায় এনে বাজারজাত করার চেষ্টা করছে। সে প্রেক্ষিতে তারা গোয়েন্দা নজরদারী জোরদার করে এবং এ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ জাফরুল্লাহ কাজল এর সার্বিক নির্দেশনায় ঢাকা মেট্রো কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান এবং সহকারী পরিচালক মোঃ মেহেদী হাসান এর তত্ত্বাবধানে মোঃ শাহীনুল কবীর, পরিদর্শক মোহাম্মদপুর সার্কেল এর নেতৃত্বে একটি বিশেষ চৌকস টিম গতকাল শুক্রবার ১ জুলাই ঢাকার পল্টন মডেল থানাধীন পুরানা পল্টন লেন (ভিআইপি রোড) হতে ২(দুই) কেজি আফিম সহ ১(এক) জন আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার কৃত আসামীর দেয়া তথ্যমতে বনশ্রী আবাসিক এলাকা থেকে ১ (এক) কেজি আফিম সহ আরো ১ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। সর্বমোট ৩ (তিন) কেজি আফিমসহ মোট ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের তথ্যসমুহ যথাক্রমে উল্লেখ করা হলো, মোঃ আবুল মোতালেব (৪৬), নিজ জেলাঃ নোয়াখালী।
(তিনি দীর্ঘদিন যাবত ম্যানপাওয়ার ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।) মোঃ জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ভূঁইয়া (88), নিজ জেলাঃ জামালপুর।
(তিনি দীর্ঘদিন যাবত একটি বেসরকারী গ্রুপ অব কোম্পানীর প্রজেক্ট ম্যাজোর হিসেবে কর্মরত থাকার আড়ালে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন।)
উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য একটি শপিং ব্যাগের ভিতরে একটি প্লাস্টিকের বয়ামের মধ্যে পলিথিনে মোড়ানো ২ কেজি আফিম, (২) একটি পলিথিনে মোড়ানো ১ কেজি আফিম। আফিম একটি ‘ক’ শ্রেণির মাদকদ্রব্য। উদ্ধারকৃত ৩ (তিন) কেজি আফিম এর আনুমানিক বাজারমূল্য পৌনে ৩ কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, উদ্ধারকৃত আফিমের চালানটি ফেনী থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
আসামীরা উক্ত মাদকদ্রব্য (আফিম) বাজারজাত করার চেষ্টা করছিল। গ্রেফতার কৃত আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে এবং এই চক্রের সাথে জড়িত একাধিক ব্যক্তির তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই নেটওয়ার্কের সকল সদস্যকেই তদন্তপূর্বক আইনের আওতায় আনা হবে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া ।
আফিম গ্রহণের কারনে
শ্বাসকষ্ট ও অবচেতন হয়ে পড়তে পারে। মুখ ও নাক শুকিয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য ইত্যাদি হতে পারে। বেশি পরিমাণে খেলে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তথা (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।
