রাবির অন্যতম সেরা হল! –ড. মু. আলী আসগর প্রফেসর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

Uncategorized জাতীয়


বিশেষ প্রতিবেদন ঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতিহার হল পুরোটাই টিন শেড ছিল। আমি যখন ২০১৬ সালে মতিহার হলের প্রভোস্ট হই, তখন একটি চার তলা আবাসিক ভবন ছিলো। অফিস টিন শেড ছিল। আমি টিন শেড অফিসে বসতাম। ছাদ থেকে পানিও পড়ত। আমার সৌভাগ্য, আমি প্রভোস্ট থাকাকালীন একটি চার তলা আবাসিক ভবন, একটি দেড় তলা আবাসিক ভবন, একটি একতলা ডাইনিং ও কমন রুম এবং একটি এক তলা অফিস ভবনের সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছিল। আমি অন্তত এক শত চিঠি দিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনকে দ্রুত কাজ শেষ করার অনুরোধ জানিয়ে। ব্যাপক আয়োজন করে ২০১৮ সালে ভবনগুলো উদ্বোধন হয়েছিল। খারাপ ভালো যাই হোক, টিন শেড ভেঙে দেওয়ার অনুমোদন করিয়ে নিয়েছিলাম। মতিহার হলে প্রায় ৭৫০ টি স্থায়ী ফুলের গাছ ও শোভাবর্ধক গাছ লাগিয়েছিলাম। সিজনাল ফুল গাছের হিসাব মালীও জানত না। প্রতিটি গাছ লাগানোর সময় আমি হাত লাগিয়েছিলাম বা সাথে ছিলাম। আমি ২০১৯ সালের ০৪ ফেব্রুয়ারিতে হল ছেড়ে চিরতরে চলে আসি। শুনেছি গাছগুলো অনেক বড় হয়েছে। ভবনের পেছনে ৮টি গোপালভোগ, হিমসাগর ও আম্রপালি আম গাছ লাগিয়েছিলাম। পুরো হলকে হল ফান্ডের টাকা দিয়ে ওয়াই-ফাই এর আওতায় এনেছিলাম। হল ফান্ডের টাকা দিয়ে প্রায় এক লক্ষ টাকার বই কিনেছিলাম হল লাইব্রেরীর জন্য। সিসিটিভির আওতায় এনেছিলাম হলের মূল সিকিউরিটির জায়গাগুলো। সিনিয়র, মেধাবী, বা খেলোয়াড়রা হলে আবেদন করলে সিট পেত। সিটে তোলার দায়িত্বটা আমার ছিলো। হলের গেস্ট রুমে টাইলস বসানো হয়েছিল হলের ফান্ড থেকে।

(একদা রাবি মতিহার হলে গাছ লাগানোর সময়। ড. মু. আলী আসগর প্রফেসর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এর ফেসবুক টাইমলইন থেকে নেওয়া)


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *