নিজস্ব প্রতিবেদক : ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানিয়েছেন, ভূমি বিষয়ক ৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২০টি মামলা অনলাইনে নিষ্পত্তি হয়েছে। বর্তমান সরকারের সময় মোট মামলা হয়েছে ১০ লাখ। মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ই-নামজারির সক্ষমতা মূল্যায়নে গবেষণালব্ধ ফলাফল বিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সরকারের অল্প সময়ে এক কোটি ৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৯৩ জন সুবিধাভোগী ই-নামজারি থেকে সুবিধা পেতে শুরু করেছেন। ৯ লাখ ৯৫ হাজার ৮১৫টি নামজারি আবেদন দাখিল হয়েছে অনলাইনে।
মন্ত্রী বলেন, পহেলা জুলাই থেকে সারা দেশে ই-নামজারি শুরু হয়েছে। তবে তিনটি পার্বত্য জেলা এই কর্মসূচির বাইরে রয়েছে। বর্তমানে ৪৮৫টি উপজেলা ভূমি অফিস ও সার্কেল অফিসে এবং ৩ হাজার ৬১৭টি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ই-নামজারি বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ভূমি সংক্রান্ত যেকোনো হয়রানির কথা সরাসরি মন্ত্রণালয়ে জানাতে হটলাইন চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। তিনি বলেছেন, আগামী মাসেই এ হটলাইন নম্বর চালু হবে। এর মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ভুক্তভোগীরা তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন। অভিযোগ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে মন্ত্রণালয়। সোমবার ভূমি মন্ত্রণালয়ে ‘ই-নামজারির সক্ষমতা মূল্যায়নে গবেষণালব্ধ ফলাফল’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা হটলাইন চলু করছি। আগামী মাসের মধ্যে এটা চালু করা হবে। এর মাধ্যমে জনগণ ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা জানাতে পারবেন। প্রবাসীদের জন্যও একটি ডেডিকেটেড ওয়েবসাইট করছি। এর মাধ্যমে প্রবাসীরাও তাদের সমস্যা জানাতে পারবেন।
সাড়ে চার কোটি আরএস ও সিএস খতিয়ানের মধ্যে পৌনে চার কোটি ডাটাবেজে আপলোড করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এগুলো সবাই অনলাইনে পাচ্ছে। বাকি ৫০ হাজার আপলোড করতে পারলেই এক্ষেত্রে শতভাগ হয়ে যাবে।
মন্ত্রী বলেন, রেজিস্ট্রেশন বিভাগের অংশটায় বেশ সমস্যা রয়েছে। এটা ভূমি মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে না, এটা আইন মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে। রেজিস্ট্রেশন বিভাগটা যেহেতু আমার মন্ত্রণালয়ের আন্ডারে নয়, তাই আমি এখানে হাত দিতে পারছি না। তিনি আরও বলেন, এটা নিয়ে আমরা চিন্তা করছি না। আমরা ভূমি বিষয়ে ডিজিটালাইজেশনে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর উদ্দেশে ভূমিমন্ত্রী বলেন, যাতে তারা (আইন মন্ত্রণালয়) ডিজিটালাইজেশনের ক্ষেত্রে সমান স্তরে থাকতে পারে সেজন্য এটুআইয়ের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া যায়। তিনি বলেন, পুরো সিস্টেমটা ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে কে কোন মন্ত্রণালয়ে সেটা দেখার বিষয় থাকবে না। অনলাইনে কাজটা শেষ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে হয়রানি বা কোনো সমস্যা থাকবে না।
মন্ত্রণালয় ব্রিটিশ ও পাকিস্তান আমলের ভূমি আইন সংশোধন করে সময়োপযোগী করার উদ্যোগ নিয়েছে বলেও জানান সাইফুজ্জামান চৌধুরী।