কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ আমেরিকার সাবেক কূটনীতিকরা বিএনপি’র আনসারীর সাথে বসে এজেন্ডা ঠিক করছে, আর সেই এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি, একই সুরে তারা কথা বলছে মিডিয়াতে আর আমেরিকার এমব্যাসি ঠিক সেই সুরেই বিবৃতি দিচ্ছে।
খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব মুশফিক ফজল আনসারীর সাথে ঘরোয়া ডিনারে ব্যস্ত বাংলাদেশে আমেরিকার সাবেক রাষ্ট্রদূত অ্যাম্বাসেডর উইলিয়াম বি মাইলাম, মার্শিয়া বার্নিকাট ও ড্যান মজেনা আমেরিকার সাবেক কূটনীতিকরা বিএনপি’র আনসারীর সাথে বসে এজেন্ডা ঠিক করছে, সেই এজেন্ডা অনুযায়ী কাজ করছে বিএনপি, একই সুরে কথা বলছে মিডিয়াতে
আর আমেরিকার এমব্যাসি ঠিক সেই সুরেই বিবৃতি দিচ্ছে।
আমেরিকা কি বাংলাদেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়? নাকি বিএনপিকে ক্ষমতায় আনাই তাদের লক্ষ্য? বিএনপি দেশের মানুষের পক্ষে কাজ না করে, এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে আমেরিকার। তাদের ধারণা আমেরিকাই তাদের ক্ষমতায় বসাবে,
ডঃ ইউনুস কাজ করছে সেই লবির মেইন ব্রিজ হিসেবে।
কে এই মুশফিকুল ফজল আনসারী?
মুশফিকুল ফজল আনসারী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাবেক সহকারী প্রেস সচিব এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সাবেক সদস্য সচিব।
তার আরো একটি পরিচয় আছে, যা শুনলে চমকে যেতে পারেন আপনিও। সাংবাদিক নামধারী এই আনসারী কিন্তু ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড হারিছ চৌধুরীর ভাগ্নে। হাওয়া ভবন সিন্ডিকেটের হয়ে তারেক রহমানের দুর্নীতির অন্যতম সহযোগী। সেই সূত্রেই লন্ডন ও ওয়াশিংটনে বাড়ির মালিক হন তিনি।
বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচারে তাসনিম খলিল ও কনোক সারওয়ারের সাথে লিয়াজোঁর কাজটি করে চলেছেন এই আনসারী।
এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস ও জাতিসংঘের মতো জায়গাতেও সাংবাদিক পরিচয়ে নিয়মিত ঘোরাফেরা করেন তিনি। এর মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজনৈতিক এজেন্ডা সেট করেন তিনি।
নিজেকে ‘জাস্ট নিউজ বিডি’ নামক একটি অনলাইনের সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দেন আনসারী। তার হাতে রয়েছে ফরেন প্রেস সেন্টারের মিডিয়া ক্রেডেনশিয়াল এবং জাতিসংঘের অ্যাক্রিডেশন কার্ড।
এসব কার্ড ব্যবহার করে- জাতিসংঘ, স্টেট ডিপার্টমেন্ট, হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী নানা মন্তব্য এবং বিএনপি ও খালেদা জিয়ার পক্ষে নানা প্রশ্ন করেন তিনি। আবার বিএনপির বিভিন্ন রাজনৈতিক অনুষ্ঠানেও দলটির নেতা ও অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
একজন সক্রিয় দলীয় কর্মী হিসেবে তিনি যেভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সাংবাদিকতার কার্ড ব্যবহার করছেন, তাতে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন প্রকৃত পেশাজীবী সাংবাদিকরা। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় কয়েকটি দৈনিকে আনসারীর কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নিন্দা জানিয়েছেন প্রবাসীরা। এ বিষয়ে লিখিত উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের বাংলাদেশি মিশন।