নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ যেহেতু দেশের সর্বোচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতিকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন, সেহেতু দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। বর্তমান সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। তাই সর্বোচ্চ আদালতের ওই রায় মান্য করে।
‘ন্যাশনাল স্টেকহোল্ডার কনসালটেশন অন ইনস্টিটিউশনাল অব প্যারালিগ্যাল অ্যাপ্রোচ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হয়। এভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশেও দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। ভোট হবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে।
কেউ যদি বিনা অপরাধে কারাগারে থাকে, রাজনৈতিক কারণে থাকে, তারা অবশ্যই মুক্তি পাবে। কিন্তু কেউ যদি মামলার আসামি হিসেবে কারাগারে থাকে, তাহলে আদালত ছাড়া তার মুক্তি সম্ভব না। মামলাজট কমাতে সরকার বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক মামলা বেশি হচ্ছে।
মামলাজটের সঠিক পরিসংখ্যান জানতে একটা কমিটি করা হয়েছে। তারা প্রকৃত মামলার পরিমাণ আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে জানাতে পারবে।
অনুষ্ঠানে আইনি সহায়তাকারী বা প্যারালিগ্যাল কর্মীদের কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। ২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন এনজিও’র সহায়তায় ৪০টি জেলায় প্যারালিগ্যাল কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ১০টি জেলায় এ কার্যক্রম রয়েছে। জার্মান দাতা সংস্থা জিআইজেড’র আর্থিক সহায়তায় এ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
রাজধানীর একটি হোটেলে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি, বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটারটন ডিকসন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার, জি আই জেড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর আন্দ্রেয়াস কুক ও রুল অব ল প্রোগ্রামের প্রোগ্রাম হেড প্রমিতাসেন গুপ্তা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।