বাংলাদেশের চিকিৎসকদের অতুলনীয় সাফল্য, জোড়া শরীর থেকে মুক্তি পেয়েছে জমজ বোন

Uncategorized স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ পত্র পত্রিকা এ ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রবাশের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে আমরা বিনা পয়সায় ঢাকা মেডিকেলে সকল চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জমজ বোনেরা পেয়েছে নতুন জীবন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জমজ বোনদের মা-বাবা।

দুই বোনের দেহ জোড়া লাগানো। সেই জোড়া দেহটি থেকে তাদের মুক্তি মিলেছে। ফিরে পেয়েছে নতুন জীবন।এবারের ঈদ উৎসবটা ছিল দুই বোনের অন্যরকম অনুভুতি।

বুধবার (১৩ জুলাই) কথা হয় তাদের সাথে। তাদের আনন্দ খুশীর যেন শেষ নেই। চিকিৎসকদের আদর ভালবাসার কথা শিশু দুজন ভুলতে পারছেনা। বার বার স্মরন করছিল চিকিৎসকদের।

নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের জদুনাথ পাড়া গ্রামের লাল মিঞা দ¤পতির বাড়ি। বিয়ে সংসারে প্রথম সন্তান আসে আলো ছড়ানোর পরিবর্তে এক অন্ধকারের মতো।

২০১৯ সালের ১৫ এপ্রিল জলঢাকা উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের যদুনাথ পাড়ায় লাল মিয়া ও মনুফা দ¤পতির ঘরে জন্ম নেয় জোড়া শিশু দুটি। শিশুদের বাবা লাল মিয়া একজন রাজমিস্ত্রির সহযোগী। জোড়া লাগানো শিশু দুটির নাম রাখা হয় লাবিবা ও লামিশা। তাদের বয়স এখন তিন বছর তিন মাস।

বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এই জমজ জোড়া লাগানো দুইবোন কে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে পৃথক করে নতুন জীবন দিয়েছে। তারা এখন সুস্থ হয়ে নিজবাড়ি ফিরেছে।

শত কষ্টের মাঝে চলতি বছরের ২১ মার্চ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘ ১২ ঘন্টা অস্ত্র-পাচারের মাধ্যমে আলাদা করা হয় তাদের।জোড়া লাগানো শিশু লাবিবা ও লামিসাকে নীলফামারীর জলঢাকা থেকে তিন মাস আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়। শিশু দুটিকে আলাদা করতে হাসপাতালে শিশু পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. আশরাফুল হক কাজলের তত্ত্বাবধানে ৩৮ জন চিকিৎসক বিভিন্ন বিভাগের যেমন পেডিয়াট্রিক সার্জারি ছাড়াও নিউরোসার্জারি, প্লাস্টিক সার্জারি, রেডিওলজি, অর্থোপেডিকস সার্জারি, অ্যানেসথেশিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

সেই অস্ত্রোপচারের সফলতা শেষে সুস্থ্য হয়ে দুই বোন ১৫ জুন বাড়িতে ফিরে এসেছে। তাদের একজন দেখতে শতশত মানুষজন এখনও তাদের বাড়িতে ভিড় করছে। সেই সঙ্গে শিশু দুটির খোঁজ খবর নিতে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে দুইবোনকে

দেখতে ছুটে যান সিভিল সার্জন ডাক্তার মোঃ জাহাঙ্গীর কবির।
সিভিল সার্জনের উপস্থিতিতে আনন্দিত লাবিবা ও লামিশাসহ পরিবারের লোকজন। দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হওয়ায় আনন্দিত লাল মিয়ার পরিবারসহ এলাকাবাসী।

এসময় সিভিল সার্জনের মেয়ে ইফফাত জাহাঙ্গীর শায়বা দুইবোন লাবিবা ও লামিশার হাতে ঈদ উপহার এবং তাদের বাবা লাল মিয়াকে নগদ অর্থ তুলে দেন।দীর্ঘদিন কষ্টে ফলে লাবিবা ও লামিশার পরিবারে সংসারে হাঁসি ফুটেছে। ঈদে নতুন জামা কাপড় পেয়ে জমজ দুই বোন সেজেছিল অন্যরকম।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *