কাগজপত্রের ঘাটতিতে নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবেনা, নামজারির আবেদন সম্পূর্ণ তামাদি করাও যাবেনা

Uncategorized অন্যান্য

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ গতকাল সোমবার, ১৮ জুলাই, নামজারির জন্য চাহিত দলিলপত্র তথা কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন বাতিল করা যাবেনা, এমনকি নামজারির আবেদন সম্পূর্ণ তামাদি করাও যাবেনা। ভূমি মন্ত্রণালয় এ সম্পর্কিত এক পরিপত্র জারি করেছে। ভূমিসেবা গ্রাহকদের নির্বিঘ্নে সর্বোচ্চ সেবা প্রদান করাই পরিপত্রটির উদ্দেশ্য।

ভূমি সচিব মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান পিএএ-কর্তৃক স্বাক্ষরিত “ই-নামজারি সিস্টেমে নামজারি নিষ্পত্তি করার বিষয়ে নির্দেশনা” শীর্ষক পরিপত্রে এই ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে । এছাড়া পরিপত্রে সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের জন্য আছে কিছু সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

পরিপত্রটিতে বলা হয়েছে, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সেবা সহজীকরণের লক্ষ্যে ই-নামজারি সিস্টেমে ক্রয়সূত্রে নামজারি ফরম সম্প্রতি চালু করা হয়েছে। ই-নামজারির নতুন ফরম চালু করার ফলে ডিজিটাল ভূমিসেবা সিস্টেমে (ই-নামজারি/ ই-খতিয়ান/ ডিজিটাল এলডি ট্যাক্স) কিংবা ভূমি অফিসে সংরক্ষিত নেই- এমন কোনও তথ্যের ঘাটতি থাকলেই নামজারি আবেদন না-মঞ্জুর করা যাবে না।

নামজারি মামলার ১ম আদেশে কোন দলিলপত্রের ঘাটতি থাকলে তা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করে দাখিলের জন্য অনুরোধ আনাতে হবে। সাধারণভাবে ৭ (সাত) কার্য দিবস কিংবা আবেদন বিবেচনা করে যুক্তিসংগত সময় দেয়া যাবে।

আবেদনপত্র সম্পুর্ণ তামাদি না করার ব্যাপারে পরিপত্রে আরও জানানো হয়, উক্ত সময়ের (১ম আদেশে প্রদত্ত সময়) মধ্যে নামজারি আবেদনকারী তথ্য বা কাগজপত্র দাখিল করতে ব্যর্থ হলে আদেশে না-মঞ্জুর করা যাবে। পরবর্তী কালে না-মঞ্জুরকৃত আবেদনে চাহিত তথ্য/দলিলপত্রের প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় নামজারি কার্যক্রম চালু করতে হবে (নতুন করে পুনরায় আবেদনের প্রয়োজন নাই)।

এক্ষেত্রে আবেদন পুনরায় কার্যকর হওয়ার তারিখ হতে নামজারি সেবা প্রাপ্তির সময় গণনা শুরু হবে।
এছাড়া পরিপত্রে নামজারি আবেদনের হার্ড কপি জমা না দেওয়া, দলিলের নামের সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের নামের পার্থক্য থাকা, মোবাইল ফোন নম্বর সঠিক প্রদান না করা, জমির বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান থাকা, জমির শ্রেণির বিষয়ে সর্বশেষ রেকৰ্ড ও দলিলে ভিন্ন-ভিন্নভাবে উল্লেখ থাকা সহ আরও বিভিন্ন কারণে নামজারি বাতিল করতে নিষেধ করা হয়েছে।

পরিপত্রে উপর্যুক্ত কারণ উল্লেখপূর্বক সহকারী কমিশনার (ভূমি)দের করনীয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে; যেন ভূমিসেবা গ্রাহক সময় ও সুযোগ পান, এমনকি প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিকল্প করনীয় সম্পর্কে জানতে পারেন।

ই-নামজারি আবেদনের সাথে সংশ্লিষ্ট দলিলপত্রাদি যাচাই শেষে সঠিক প্রতীয়মান হলে পক্ষগণের প্রাথমিক শুনানি না নেওয়ার জন্যেও বলা হয়েছে পরিপত্রে। ই-নামজারি আবেদন নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জটিল কোন বিষয় না থাকলে অনলাইনে শুনানি গ্রহণের জন্য উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে।
এতে ভূমিসেবা গ্রাহকগণের ভূমি অফিসে যাওয়া লাগবেনা – ক্ষেত্রবিশেষে অনেক ভূমিসেবা গ্রাহকের মূল্যবান সময় ও অর্থ বেঁচে যাবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *