সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, দেবিদ্বার, কুমিল্লা ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, মেহেরপুর এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অভিযান

Uncategorized আইন ও আদালত

 !! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে গতকাল বুধবার ৫ টি অভিযোগের বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়, দেবিদ্বার, কুমিল্লা-এর করণিক শিরিন আক্তারের বিরুদ্ধে দলিল রেজিস্ট্রেশন বাবদ সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে গতকাল বুধবার ২০ জুলাই, দুদক, সজেকা, কুমিল্লা’র সহকারী পরিচালক মাসুম আলীর নেতৃত্বে উপসহকারী পরিচালক সিদ্দিকুর রহমান রুবেল ও মোহাম্মদ আতিকুর রহমান এবং সহকারী পরিদর্শক জনাব মোফাজ্জল হায়দার-এর সমন্বয়ে গঠিত টিম কর্তৃক একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযান পরিচালনা কালে ছদ্মবেশে দুদকের টিম সেবাগ্রহীতার সাথে অতিরিক্ত ফি আদায়ের বিষয়ে কথা বলেন। তাছাড়া অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের কর্মকর্তা- কর্মচারী, দলিল লেখক সমিতির সদস্যদের সাথে অতিরিক্ত ফি আদায়ের সত্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনের নিকট দাখিল করবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, মেহেরপুর-এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মেহেরপুর হতে কুষ্টিয়া পর্যন্ত সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক, সজেকা, কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক নীলকমল পাল এর নেতৃত্বে ৪ সদস্যের একটি টিম গতকাল বুধবার অপর একটি অভিযান পরিচালনা করেছে এনফোর্সমেন্ট টিম সড়ক ও জনপথ বিভাগ, মেহেরপুরের আওতাধীন অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রাস্তার কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করে। প্রকল্পসংশ্লিষ্ট রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা করে দেখা যায় ২০২০-২১ অর্থবছরে মার্চ মাসে কার্পেটিং সিলকোট প্রক্রিয়ায় সংস্কার বাবদ ১১ লক্ষ টাকার কাজ করা হয়েছে। অভিযানকালে খলিসাকুন্ড থেকে মেহেরপুর সদর পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে মিলকোট এর কাজ পাওয়া যায়। এছাড়া বিগত ২০২১-২২ অর্থ বছরে জুন মাসে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানে এইচবিবি নির্মাণ বাবদ ৩৬ লক্ষ টাকার কাজ করা হয়েছে। অভিযানকালে বর্ণিত রাস্তায় নয়টি অংশে মোট ৩৬৫ মিটার এইচবিবি নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। উক্ত কাজ ইজিপি সিস্টেমে এল.টি.এম প্রক্রিয়ায় পিপিআর ২০০৮ অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনাপূর্বক এনফোর্সমেন্ট টিম বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করবে।

এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৩টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *