গত ১০ আগষ্ট পাকশী ব্রীজের নিকট পদ্মা নদীতে হাত-পা বাঁধা, মুখে স্কচটেপ ও গলায় গামছা পেঁচানো এক অজ্ঞাতনামা পুরুষের লাশ উদ্ধার পূর্বক সনাক্ত করে পিবিআই, কুষ্টিয়া। মৃতদেহটি মোঃ মিনারুল ইসলাম (৪৩), পিতা-আইয়ুব আলী, সাং-নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর এর মর্মে জানা যায়।
তিনি আরমান পরিবহন নামে ঢাকা মেট্রোঃ নং-১৮-১১৮৫ পিক আপের মালিক ও চালক। পিকআপ ছিনতাই এর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঐ দিনই সন্ধ্যা সাতটায় ড্রাম ট্রাকের ইঞ্জিন বহনের জন্য দুজন অজ্ঞাতনামা যুবক ৪,৫০০ টাকায় ভাড়ার চুক্তিতে যশোর থেকে উক্ত পিকআপটি ভেড়ামারায় নিয়ে আসে।
সূত্রঃ ভেড়ামারা থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-১২/০৮/২০২২ ইং, ধারা-৩০২/২০১/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড, জিআর-১৯৯/২০২২। মামলার ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত আরশাদুল ইসলাম (৩১), পিতা- মোঃ নুরুজ্জামান, সাং-মওলা হাবাসপুর, জগশ্বর, থানা- ভেড়ামারা, জেলা-কুষ্টিয়া, তরিকুল (২২), পিতা- মোঃ ফেরদৌস আলী, সাং-মওলা হাবাসপুর, জগ¯^র, থানা- ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়া এবং তুফান (২২), পিতা-আব্দুল, সাং-নতুনহাট, থানা- ভেড়ামারা, জেলা- কুষ্টিয়া।
অ্যাডিঃ আইজিপি পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার, বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তবধান ও প্রত্যক্ষ দিক নির্দেশনায় পিবিআই, কুষ্টিয়া ইউনিট ইনচার্জ পুলিশ সুপার মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার এর সার্বিক সহযোগিতায় পুলিশ পরিদর্শক(নিঃ) মোঃ মনিরুজ্জামান যশোর এবং কুষ্টিয়া জেলায় বিরামহীন অভিযান পরিচালনা করে।
উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে আরশাদুল ইসলাম(৩১) এবং তরিকুল(২২) কে আটক করে। তারা ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করে। তাদের দেখানো মতে ও সনাক্ত মতে ছিনতাইকৃত পিকআপ নং ঢাকা মেট্রোঃ ন-১৮-১১৮৫ উদ্ধার করা হয়। উল্লেখ্য বিষয়টির পরবর্তী আইনী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
পিবিআই, কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মোঃ শহীদ আবু সরোয়ার জানান যে, নিজের ও গাড়ীর নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে চালকগণ ভাড়ায় যাওয়ার পূর্বে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট যাত্রীদের পরিচয় সম্বন্ধে নিশ্চিত হবেন।
