নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নে অসহাদের ১০টাকার ২৫৬টি চালের কার্ড নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ উঠেছে

Uncategorized আইন ও আদালত

মো:রফিকুল ইসলাম,নড়াইলঃ
নড়াইলের বিছালী ইউনিয়নে অসহাদের ১০টাকার ২৫৬টি চালের কার্ড নিয়ে নয়ছয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে,এর আগে টিসিবি’র কার্ড করে দেয়ার নাম করে অসহায় সাধারণ জনগণের কাছ থেকে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে হাতিয়ে নিয়ে টিসিবির কার্ড করে দিয়েছেন,এমন অভিযোগ পেয়ে সাথে সাথে মির্জাপুর বাজারে মঈনের নির্বাচনী অফিসে বসে এ অনিয়ম করতে দেখা যায়। এসময় অভিযোগ পেয়ে সাংবাদিক মো:রফিকুল ইসলাম,ভিডিও ধারন করতে গেলে অনিয়মকারী দূর্নিতিবাজ মেম্বার মঈন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সাংবাদিককে ভিডিও ধারন করতে বাঁধা দিয়ে বিভিন্ন নেতা কর্মিদের পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার বড়াই করে। নড়াইল সদর উপজেলার বিছালী ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডে ১৩টি গ্রামে মোট ৭৫৮ জন খাদ্য বান্ধব কর্মসুচি’র ১০ টাকার ৩০ কেজি চাল এর কার্ডধারী উপকারভোগী রয়েছে। ১০ টাকা কেজি চাউলের পুরাতন কার্ড অনলাইনে আবেদন করিবার জন্য আবেদন মর্মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ পত্র দায়ের করেন,২নং ওয়ার্ডের মেম্বার খন্দকার মঈন উদ্দিন। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, মির্জাপুর ২নং ওয়ার্ডে প্রায় ৫,০০০ ভোটার আছে,উক্ত ৫,০০০ হাজার ভোটারদের মধ্যে ১০ টাকা কেজি চাউলের ২৭০ টি কার্ড সাবেক চেয়ারম্যান প্রদান কৃত রহিয়াছে। খন্দকার মঈন উদ্দিন বলেন,সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক উক্ত কার্ডগুলি অনলাইন করিবার জন্য আমার ওয়ার্ডের গরীব অসহায় কার্ডভোগী মানুষ বর্তমান চেয়ারম্যানের নিকট গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক অনলাইন না করিয়া,তাহাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন পূর্বক তাড়াইয়া দেয়। গত ইং-২৮/০৮/২০২২ তারিখ সকাল অনুমান সাড়ে দশঁটার সময় উক্ত কার্ডভোগী জনগনকে সঙ্গে লইয়া আমি ইউনিয়ন পরিষদে গেলে বর্তমান চেয়ারম্যান আমাকে হুমকি দিয়া বলে,যে তুই আমার বিরুদ্ধে আন্দোলন করিতেছিস,আমি তোর ঠ্যাং ভাঙ্গিয়া দিব এবং উক্ত বিষয় লইয়া আমার নিকট পুনরায় আসিলে আমি তোর গলা কাটিয়া ফেলিব। এই বলিয়া আমি সহ আমার ওয়ার্ডের জনগনকে তাড়াইয়া দেয়। আমার ওয়ার্ডের পুরাতন ২৭০ টি কার্ড গরীব জনগন যাহাতে অনলাইন করিয়া পুনরায় চাল পাইতে পারে তাহার সু-ব্যবস্থা করিতে আপনার সদয় মর্জি হয়। সরজমিন ঘুরে জানা যায়,৭৫৮টি কার্ডের মধ্যে মেম্বার খন্দকার মঈন উদ্দিন এর ২নং ওয়ার্ডে রয়েছে ৩০৪টি কার্ড, এর ভিতর থেকে সংশোধনের জন্য মেম্বার মঈন উদ্দিন ২৫৬ জন উপকারভোগীকে নিজ সার্থে বাদ দিয়ে নতুন করে ২৫৬ জনের নামের সুপারিশ করে সিল সইির মাধ্যমে নথিপত্র জমা দিয়েছেন চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুক এর কাছে। গত (২৮ আগষ্ট) রবিবার সকালে মাইকিং করে চালের কার্ড অনলাইন করতে হবে মর্মে ইউনিয়ন পরিষদে যার যার নিজ নিজ ভোটার আইডি কার্ড সাথে নিয়ে হাজির হতে অনুরোধ করেন চেয়ারম্যান। এসময় ২নং ওয়ার্ডের কার্ডধারী উপকারভোগী’রা মেম্বার মঈন উদ্দিনের পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ কৃত ২৫৬টি উপকারভোগী’র কার্ডের বিষয়ে জানাজানি হলে, মেম্বার মঈন উদ্দিন তার সুপারিশকৃত ২৫৬টি কার্ডের বিষয়টি আড়াল করতে, তাৎক্ষণিক উপকারভোগীদের নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর ২৭০টি উপকারভোগী’র কার্ড অনলাইন করতে পারে মর্মে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এ বিষয়ে বিছালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেমায়েত হোসেন ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,অসহায়-গরিবের ১০ টাকার চালের কার্ড পরিবর্তন বা কাউকে বাদ দিয়ে নতুন কারো নাম দেয়ার কোন এখতিয়ার আমার নেই, ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যসহ স্থানিয় গন্যমান্য বেক্তিদের নিয়ে একটি কমেটি আছে,তারা যাচায় বাছায় করে এবং উপজেলা কার্যালয়েও একটি কমিটি আছে এসব যাচাই বাছাই করার জন্য। ২নং ওয়ার্ড মেম্বার মঈন বিগত বেশ কিছুদিন আগে তার ওয়ার্ডের ২৫৬টি উপকারভোগী’র কার্ড বিভিন্ন কারন দেখিয়ে পরিবর্তন করার জন্য তার সিল সই করে আমার কাছে জমা দিয়েছেন। গরিবের হক কাউকে মেরে খেতে আমি দিব না। মঈনের ওয়ার্ডে গরিব অসহাদের অনলাইন মঈন কেন করেনাই ? আমি সর্ব শেষ (২৮ আগস্ট) রবিবার সকালে মাইকিং করে ডেকে আনি,অনলাইন করার জন্য। নেটওয়ার্ক সমস্যা থাকার কারনে কার্ড অনলাইন করতে একটু ঝামেলা হচ্ছে,সবগুলা কার্ড তো আর এক বারে করা যায় না বলেও তিনি জানান। মঈন সকালে সবাইকে এক সঙ্গে কার্ড অনলাইন করতে পাঠিয়ে একটি ঝামেলা সৃষ্টি করে এবং আমি সবাই কে, এক এক করে অনলাইন করতে বল্লে মঈনের উষ্কানীতে চেঁচামেচি সুরু হলে দ্রুত মেম্বার মঈন,সবাই কে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অনৈতিক, ভিত্তিহীন, বানোয়াট অভিযোগ করে,যার কোন সত্যতা নাই। হেমায়েত হোসেন ফারুক আরো জানান,মঈন অসহায়দের সাথে অনিয়ম করতে গিয়ে এবং বেসি চালাকি করতে যেয়ে,এখন নিজে ওয়ার্ড বাসির হাত থেকে বাঁচতে কিছু কুচক্রীমহলকে সাথে নিয়ে আমার সন্মানহানী করার লক্ষে অপপ্রচার ও গুজব ছড়াচ্ছে,আমার কাছে তার জমা দেয়া সকল প্রকার নথিপত্র আছে,আমি এ সকল কাগজ পত্র ডিসি মহাদয় এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পেরণ করেছি। ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার মঈন উদ্দিনের কাছে উপকারভোগীদের ২৫৬টি কার্ড পরিবর্তনের জন্য নিজের সিল সই করে চেয়ারম্যানের কাছে জমা দেওয়ার বিষয়ে জানতে বারবার তার ব্যবহারীত মুঠোফোনে ফোন করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জানান,বিছালী ইউনিয়নের ১০ টাকা কার্ডের উপকারভোগী ২৭০টি চালের কার্ডের তদন্ত চলছে,তদন্তপূর্বক দোশীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *