বিশেষ প্রতিবেদন ঃ যশোরের অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উদ্যোগে সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অভিযানকে এলাকার জনসাধারণের পক্ষ থেকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে।
তবে শুধু সার সিন্ডিকেট নয়, অভয়নগরে খাদ্য গুদামে অনিয়ম, কয়লার ড্যাম্পে কয়লার সাথে মাটি, বালু, ও পোঁড়া কয়লার ছাই মিশ্রণে জনগণের সাথে প্রতিনিয়ত ঘটছে অভিনব প্রতারণা যা বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হলেও সাধারণ জনগণের কিছুই করার বা বলার থাকেনা।
বিভিন্ন বিষয়ে অভিযানের উদ্যোগ নিতে এলাকার জনসাধারণের পক্ষ থেকে সবিনয়ে অনুরোধ জানানো হলো।
এবার আসা যাক সারের বিষয় বস্তায় সার কম দিয়ে যে সিন্ডিকেট কৃষকদের সাথে প্রতারণা করছে এরা রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা করছে। বাংলাদেশে কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, এটাই সত্য।
একজন সার সিন্ডিকেটের অপরাধীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কিছু অর্থ জরিমানা করলেই এসব অপরাধীরা তাদের এই কর্মকান্ড কি বন্ধ করবে?
এটা সম্ভব না, সারা বছর ব্যাপী এই সিন্ডিকেট কৃষকদের সাথে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে এবং আগুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছে।
এদের শিকড় জরুরিভাবে তুলে না ফেলতে পারলে আগামী প্রজন্মের সন্মানিত কৃষকরা একেবারেই ধ্বংস হবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
তাই এই সব কৃষক ঠকানো সার বস্তায় ওজনে কম দেওয়া সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিযোগ্য আইনের বিশেষ প্রয়োজন বলে সচেতন মহল মনে করেন।
যদি জরিমানা সহ জেল জুলুমের কোন বিধান থেকে থাকে, এই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সেই আইন প্রযোগ করা খুবই জরুরি। শুধুমাত্র জরিমানা করলে অবৈধ পন্থায় সার ওজনে কম দেয়া কৃষক ঠকানো সিন্ডিকেট থেমে থাকবেনা।
এই সিন্ডিকেটের আছে বহুরূপী গুন, এদের সাথে যারা জড়িত, তারা শুধু অবৈধ পন্থায় কৃষক ঠকিয়ে টাকার পাহাড় গড়ার জন্য রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় বড় বড় নেতাদের পাশে বসে সখ্যতা গড়তে বেশি সময় লাগেনা।
এর পর কিছু অসৎ সাংবাদিকদের অসৎভাবে নিজেরা হাত করে রাখে।
ভাবসাব এমন যে, কৃষকদের ঠকিয়ে অবৈধ ভাবে যা ইচ্ছে তাই করে টাকার পাহাড় গড়বে,তাদের ঠেকাবে কে?
তাই অভয়নগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সচেতন মহল এর পক্ষ থেকে বিনীতভাবে অনুরোধ অবৈধ সার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগের উদ্যোগ গ্রহন করে অভয়নগর উপজেলা সহ দেশের সন্মানিত কৃষকদের বাঁচাতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করুন কৃষক বাঁচান।