রাজধানীর বনানীর অভিজাত এলাকার বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ডিএনসি’র অভিযানে অত্যাধুনিক মাদক দ্রব্য উদ্ধার

Uncategorized অপরাধ



!! কোকেন, এলএসডি, কুশ, এমডিএমএ (এক্সটাসি), সিসা, বিলাতী মদ, আইস, গাঁজা সহ “সামাহ্ রেজার বেøডস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড এর পরিচালক সেলিম সাত্তার গ্রেফতার !!


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ​মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) প্রতিষ্ঠার সূচনালগ্ন থেকেই মাদক নিয়ন্ত্রণের লক্ষে অত্যন্ত আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে আসছে।

মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার সহ নেশার মরণ ছোবল থেকে তরুন সমাজকে রক্ষার জন্য ঢাকা মহানগরীতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর জোরালো তৎপরতা অব্যাহত আছে।

​এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ঢাকা বিভিাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক জাফরুল্ল্যাহ কাজল এর সার্বিক নির্দেশনায়, ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) এর উপ-পরিচালক মোঃ রাশেদুজ্জামান নেতৃত্বে সকল সার্কেলের সমন্বয়ে একটি বিশেষ টিম ঢাকার বনানীর ১১ নং রোডের একটি বিলাস বহুল ফ্ল্যাটে রবিবার ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪ টার সময় অভিযান পরিচালনা করা হয়। উক্ত অভিযান পরিচালনা কালে মোঃ সেলিম সাত্তার (৬১)কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট হতে জব্দকৃত মাদক দ্রব্য সমুহের বিবরণ তুলে ধরা হলো ,
কোকেন-৩০ গ্রাম, এমডিএমএ (এক্সটাসি)-১৮৫ পিস, বিলাতী মদ-২০ বোতল, কুশ-১২৫ গ্রাম, এলএসডি-২৯ বøটার,গাঁজা-৩০০ গ্রাম, আইস-৫ গ্রাম, সীসা-৭০০ গ্রাম ও সীসা সেবনের হুক্কা-২টি, গাঁজার কেক (ক্যানাবিস কেক)-১৬০ গ্রাম (১টি) এবং নগদ টাকা ১,৬৭,০০০ (এক লক্ষ সাতষট্টি হাজার)

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সেলিম সাত্তার সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক।

বিভিন্ন দেশে যাতায়াতের সুবাদে সে বিভিন্ন মাদক সম্পর্কে অবগত হয় এবং দীর্ঘদিন যাবৎ সে উপরোক্ত মাদকসূমহ সেবন করে আসছে এবং তার বন্ধু মহলসহ একটি চক্রকে উপরোক্ত মাদকসমূহ সরবরাহ করে আসছে।

বিশেষ করে বিভিন্ন পার্টিতে উপরোক্ত মাদকস মূহ সরবরাহের জন্য তিনি এগুলো সংগ্রহ করেন বলে জানান। গ্রেফতার কৃত সেলিম সাত্তার “সামাহ্ রেজার ব্লেডস ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড” (সাবেক বলাকা ও সার্প বেøড কোম্পানি লি:) এর পরিচালক।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সেলিম সাত্তার আরো জানান, নেদারল্যান্ড এর আর্মস্টাডার্ম হতে এলএসডি ও এক্সটাসি, স্পেনের বার্সিলোনা হতে কোকেন, আমেরিকা হতে কুশ (সিনথেটিক গাঁজা) এবং আইস ও ক্যানাবিস চকলেট ও বিদেশী মদ স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করতেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে আরো বেশ কিছু তথ্য উপাত্ত পাওয়া গেছে যেগুলো বিশ্লেষণ করে এই নেটওয়ার্ক এর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

​গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ (সংশোধিত ২০২০) মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর ঢাকা মেট্রোঃ কার্যালয় (উত্তর) কর্তৃক ভবিষ্যতে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

​মাদক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত মাদকের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি) বদ্ধপরিকর।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *