অটোরিকশা মালিক-শ্রমিকদের ধর্মঘটের ডাক

Uncategorized

নিজস্ব প্রতিবেদক : নয় দফা দাবিতে রাজধানীতে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ। বুধবার পরিষদের সদস্য সচিব সাখাওয়াত হোসেন দুলাল বলেন, আগামী ১৫ থেকে ১৭ অক্টোবর লাগাতার ৭২ ঘণ্টা তাদের এই ধর্মঘট চলবে।


বিজ্ঞাপন

অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিকদের পাঁচটি সংগঠন নিয়ে গঠিত এ পরিষদের আহ্বায়ক মো. বরকত উল্লাহ ভুলু সেখানে ধর্মঘটের ঘোষণা দেন।


বিজ্ঞাপন

নয় দফা দাবিতে ৬ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন, ৭ অক্টোবর থেকে ১২ অক্টোবর থানা পর্যায়ে কর্মী সভা ও গণসংযোগ, ১৩ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে মালিক-শ্রমিক সমাবেশ হবে বলে পরিষদের আহ্বায়ক বরকত উল্লাহ ভুলু জানান।

পরিষদের নয় দফা দাবি হলো:-

১. ঢাকা মহানগরীসহ ঢাকা জেলা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জে অবৈধ অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে হবে।

২. ‘প্রাইভেট’ অটোরিকশার বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।

৩. সুনির্দিষ্ট পার্কিংয়ের ব্যবস্থা না করে ‘নো পার্কিং’ মামলা ও ডাম্পিং করা যাবে না। এসএস স্টিলের গ্রিল বাম্পার রং করার নামে মামলা এবং ভিডিও/গায়েবি মামলাসহ অন্যায়ভাবে কোনো মামলা বা রেকারিং করা যাবে না।

৪. রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের অনুমোদনবিহীন সকল মোটর সাইকেল ও প্রাইভেটকারের বাণিজ্যিক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের চালকদের নির্দিষ্ট পোশাক, পেশাদারি লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি কিলোমিটার ভাড়া নির্ধারণ ও সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সিলিং সংখ্যা নির্ধারণ করতে হবে। রাইড শেয়ারিংয়ের গাড়ি চিহ্নিত করার জন্য নির্দিষ্ট রঙয়ের স্টিকার লাগানোর ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের অনুমোদনপ্রাপ্ত গাড়ির তালিকা ট্রাফিক পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।

৫. ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চার বার গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে চালকের ব্যয় বৃদ্ধি হওয়ায় ভাড়ার মিটারে প্রথম দুই কিলোমিটার ৮০ টাকা এবং পরবর্তী প্রতি কিলোমিটার ৩০ টাকা এবং ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিট চার টাকা এবং মালিকের দৈনিক জমা আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি করতে হবে। চালক মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি ও মালিকের দৈনিক জমা বৃদ্ধি না করা পর্যন্ত মিটার ও জমা সংক্রান্ত কোনো মামলা করা যাবে না।

৬. সরকারের নির্ধারিত দৈনিক জমার নিয়ম বাস্তবায়ন করা এবং ‘অন্যায়ভাবে চালিত’ শিফটিং প্রথা বাতিল করতে হবে।

৭. শুধু সরকার নির্ধারিত ফির বিনিময়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স দেওয়া বা নবায়ন করতে হবে। পেশাদার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহারিক পরীক্ষা/রি-টেস্টিংয়ের নিয়ম বাতিল করে শ্রমিক হয়রানি বন্ধ ও উৎকোচ নেওয়া বন্ধ করতে হবে।

৮. গাড়ি চোর, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টি, ছিনতাইকারী, চালক হত্যা বন্ধ করার কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

৯. অটোরিকশাকে শিল্প হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। গ্রাহক সেবায় বিআরটিএ কর্তৃক গড়িমসি ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

প্রসঙ্গত, বুধবারই জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *