সামরিক বিশ্লেষক ঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় ২৪ দেশের উচ্চ পদস্থ সেনা কর্মকর্তাদের সফর এবং কাকতালীয় ভাবে সীমান্তে মায়ানমারের গোলাগুলি বন্ধ।
প্রায় ১ মাস ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের উপারে সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল মায়ানমার আর্মি এবং বিদ্রোহী গোষ্টি আরাকান আর্মি। গোলাগুলির শব্দে এপারে বাংলাদেশীরা সবসময় আতংকে থাকতো। গতকাল রাতেও মর্টার শেল এবং গোলাগুলির তীব্র শব্দ কেঁপে উঠছিল সীমান্ত এলাকা।
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে আলৌকিকভাবে বান্দরবান এবং উখিয়া সীমান্তের উপার থেকে কোন গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি।স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সীমান্ত সুরক্ষার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা বলছেন, এর একটি কারণ হতে পারে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানের নেতৃত্বে ইন্দো প্যাসিফিক আর্মিজ ম্যানেজমেন্টের ৪৬তম সেমিনারে অংশ নিতে আসা ২৪টি দেশের সেনা কর্মকর্তারা উখিয়ার রোহিঙ্গা শরণার্থীশিবির পরিদর্শন কর্মসূচি।এই পরিদর্শনের মাধ্যমে ২৪টি দেশের প্রতিনিধিগণ বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মায়ানমার নাগরিকদের ক্যাম্পের বাস্তব চিত্র স্বচক্ষে অবলোকন করেন।২৪টি দেশের সেনা কর্মকর্তাদের সামনে ইমেজ সংকটের কারণেই মুলত মায়ানমারের বিবাদমান দুটি পক্ষ সংঘর্ষ বন্ধ রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উক্ত সেমিনারের প্রতিপাদ্য হলো, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা বাড়াতে সামরিক কূটনীতি ।এছাড়াও সম্মেলনে অংশগ্রহনকারী অন্যান্য সদস্যগণ বলিষ্ঠ শান্তিরক্ষা মিশন ও এর করণীয় শীর্ষক ব্রেক আউট সেশন এবং জুনিয়র নেতৃবৃন্দ পেশাদারিত্বের উপর পৃথক পৃথক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান জেনারেল চার্লস এ ফ্লিন সহ অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের উর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহন করেন।