সামরিক বিশ্লেষক ঃ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে বাংলাদেশকে ঋন দিতে ইচ্ছুক যদি বাংলাদেশ চায় তাহলে যে কোন শর্তে ঋণ দেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশ যদি চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র কিনতে পারবে, সেক্ষেত্রে তার এসব সমরাস্ত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঋন সুবিধা পাবে। এমনটিই একটি সাক্ষাতকারে জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনা এ. ওয়েলটন।
তিনি এখানে উল্লেখ করেন বাংলাদেশকে সমরাস্ত্র ক্রয় করতে হলে এর পূর্বশর্ত হিসেবে আকসা এবং জিসোমিয়া চুক্তি সই করতে হবে।
প্রতিটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষায় সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করা জরুরি। আজকের পৃথিবীতে সামরিক দিক দিয়ে শক্তিশালী ও নেতৃস্থানীয় দেশগুলোই পুরো বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ করছে। সমরাস্ত্র মানেই যুদ্ধ করতে চাওয়া নয়, পর্যাপ্ত সামরিক সক্ষমতা মানে হচ্ছে অন্যে দেশের অবৈধ সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া প্রতিরোধ, সার্বভৌমত্ত্ব রক্ষা।
আদর্শ রাষ্ট্র হতে হলে একটি দেশকে অবশ্যই বহি শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। বিশেষ করে যেসব দেশের মিয়ানমারের মতো প্রতিবেশি আছে তাদের এদিকে আরও বেশি নজর দেওয়া উচিত।
সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের কার্যকলাপ দেখে বাংলাদেশ উচিত সমরাস্ত্র ক্রয় ত্বরান্বিত করা। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনীকে শক্তিশালী করার অভাবনীয় সুযোগ আছে বলা যায়।
আমরা চাইলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে নিজেদের প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র নির্বাচন ও ক্রয় করতে পারি। সমরাস্ত্র ক্রয় করতে যে অর্থ লাগবে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঋন হিসেবে প্রদান করবে। চুক্তি অনুযায়ী যা আমরা আগামী ১০-১৫ বছরে পরিশোধ করবো। এক্ষেত্রে সুবিধা হচ্ছে আমাদের অর্থনীতির উপর চাপ পরবে না।
মিয়ানমারকে কাউন্টার করার জন্য এই মুহূর্তে যে সমরাস্ত্রটি খুবই প্রয়োজন সেটি হচ্ছে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান। এক্ষেত্রে যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে ১.৫/২ বিলিয়ন দিয়ে ১৬ টি F-16 Block 70 ক্রয় করা তাহলে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করা যায়।
বাংলাদেশ যদি চাইলে দুই/ তিন ধাপেই অর্থ পরিশোধ করার সক্ষমতা রাখে। সেক্ষেত্রে যদি ঋন চুক্তি হয় তাহলে আরও সুবিধা হবে বলা যায়।
