খুলনার ফুলতলা থানা এলাকায় অনলাইন জুয়ার সামাজিক ব্যাধিতে ধধংস হচ্ছে যুবসমাজ, চরম আশংকা আর উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে অভিভাবক মহল, প্রশাসনের ভুমিকা নিরব!

Uncategorized আইন ও আদালত


মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ অনলাইন জুয়ার নেশায় আসক্ত হচ্ছে ফুলতলা উপজেলার কিশোর ও যুব সমাজ, বিশেষ করে খুলনা, ফুলতলা উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও গ্রামের পাড়া মহল্লায় প্রভাব বিস্তার করছে অনলাইন জুয়ার আসর।

ফুলতলা উপজেলার
ফুলতলা বাজারে রফিক সড়ক, জামিরা, আলকা রোড, মিশ্রি সাহা রোড, উত্তর বাজার ঘূর্ণি হাট, গরুর হাট সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের কিশোর ও যুব সমাজ ভায়াল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।

সকাল থেকে শুরু করে রাত অবধি চায়ের দোকান, খেয়াঘাট, ভ্যান স্টান্ড, বাস স্ট্যান্ড সহ বিভিন্ন স্থানে গরম থাকে অনলাইন জুয়া খেলায় জুয়ারীরা মনে করে এতে কোন ঝামেলায় নেই। কারণ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে চলে এই খেলা, যা প্রশাসনের নজরে আসেনা। এদিকে এলাকার উঠতে বয়সের কিশোর ও যুবকরা অনলাইন জুয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ায় অভিভাবকরা আছে চরম উদ্যোগ আর উৎকণ্ঠায়। কারণ এই জুয়ার টাকা যোগাতে অনেকেই পরিবারের পকেট কাটছে। আবার অনেকে চুরি ও ছিনতাই এর ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েক যুবক বলেন এই জুয়া খেলতে লাগে অনলাইন জুয়ার অ্যাপস এবং এই অ্যাপস ইনস্টল করার পর লাগে টাকা। এই টাকা রিচার্জ করতে মধ্যসত্ব ভোগী এজেন্ট এর কাছে যেতে হয়। এতে করে লাভবান হচ্ছে মধ্যসত্ত্ব ভোগীরা অর্থাৎ এজেন্টরা। আর ধ্বংস হচ্ছে কিশোর কিশোরী ও যুবসমাজ।

এজেন্টের যত অ্যাকাউন্ট হবে এতে বেশি লাভ। কারণ এ টাকা রিচার্জে করতে কাটে কমিশন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক যুবক বলেন অনলাইনের এই জুয়া খেলাটা অন্ধকারের খেলার মত। বাঁধলেই বাজিমাত, না বাঁধলেই কুপোকাত, তারপরও অনেকেই সহজে বড়লোক হওয়ার আশায় বাজি ধরে।

যারা খেলে তারাও জানে না যে, কারা অ্যাপসটা নিয়ন্ত্রণ করছে। টাকা কখন আসে, কখন যাচ্ছে, হারলে মনে হচ্ছে পরের দানও পাব। জিতলে মনে হয় আর একবার ধরে দেখি, বাঁধতে তো পারে, সব মিলিয়ে একটা ঘরের মধ্যেও সময় চলে যায়। এ ব্যাপারে কথা হয় দুজন অভিভাবকের সাথে।

তারা জানান,আমরা পড়েছি বিপদে, ছেলে মেয়েরা গেম খেলছে নাকি জুয়া খেলছে বুঝতে পারছি না। এদিকে বাড়ি থেকে টাকা চুরি করে মোবাইলে রিচার্জ করে এই গেম খেলছে। টাকা না দিতে চাইলে ভাঙছে ঘরের মধ্যে থাকা জিনিসপত্র।

চলে অশান্তি। অনলাইনে জুয়া খেলে ধ্বংস হচ্ছে বিভিন্ন শ্রেণির পেশার মানুষ কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে অনলাইন জুয়ার এজেন্টরা এই ভয়াল অনলাইন জুয়ার নেশার থেকে রক্ষা পেতে ফুলতলা উপজেলা ও থানা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ একান্তভাবে কামনা করছে ভুক্তভোগী অবিভাবক মহল ।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *