অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জালালজালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘ ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার ১২ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা

Uncategorized আইন ও আদালত


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে ‘ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডে’র নামে ৫৯ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলার ১২ বছরের কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন আদালত।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. বদরুল আলম ভুইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে মানিলন্ডরিং আইনের একটি ধারা ১২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৬০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরেকটি ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। রায়ে আসামির উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ আসামিকে ১২ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
মামলার অপর আসামি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার সনাতনকাঠি গ্রামের বাসিন্দা শেখ সামসুর রহমানের ১১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১১ বছর কারাদণ্ডের মধ্যে মানিলন্ডারিং আইনের একটি ধারায় ৬ বছর সশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ১২ সেপ্টেম্বর আর্গুমেন্ট শেষে আদালত মামলাটিতে রায় ঘোষণার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর দিন ঠিক করেন।

২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যসহ মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে বনানী থানায় বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।

মামলায় ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) জালাল উদ্দিন আহমেদ, তার স্ত্রী ও সোসাইটির সহ-সভাপতি আলেয়া ফাতেমা, ছেলে ও সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক তালহা আহমেদ এবং মেয়ে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাদিয়া আহমেদকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু তদন্তে জালাল উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী ও সন্তানদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করা হয়। আর তদন্তে মাধ্যমে শেখ সামসুর রহমানকে চার্জশিট ভুক্ত করা হয় পরবর্তীতে আদালত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী ও সন্তানদের অব্যাহতি দিয়ে মামলার বিচার শুরু করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, সেনাবাহিনী থেকে ২০০৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর অবসর গ্রহণ করেন জালাল উদ্দিন আহমেদ। পরবর্তী সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী আলেয়া ফাতেমা ধারা মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড নামে সমবায় ব্যবসা শুরু করেন। এসময় তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন, মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেডের অনুকূলে এফডিআরের মাধ্যমে টাকা রাখলে কেউ কখনো ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। ১ হাজার ৪৪৯ বিনিয়োগকারীর মোট ৫৯ কোটি ৩৯ লাখ ১ হাজার ৪৫৪ টাকা ওই মাল্টিপারপাসের নাম রশিদের মাধ্যমে জমা নেন। কিন্তু ওই সোসাইটির ব্যাংক হিসেবে কোনো অর্থ জমা না দিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তা আত্মসাৎ করেন। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ছেলে ও মেয়ের কাছে ওই অর্থপাচার করেন।
মামলার বিচার চলাকালীন সময়ে ৩৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। আসামিরা মামলার শুরু থেকেই পলাতক।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *