কুটনৈতিক বিশ্লেষক ঃ এবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে মায়ানমারের তলব, সীমান্ত উত্তেজনার জন্য দায়ী করল আরাকান আর্মিকে।
গতকাল সীমান্ত পরিস্হিতি নিয়ে ব্যাখ্যা দিতে মায়ানমারে অবস্হানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মঞ্জুরুল করিম খান চৌধুরীকে তলব করে মায়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মিয়ানমারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সীমান্তসহ আশপাশের এলাকায় উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য এবার আরাকান আর্মির পাশাপাশি রাখাইনের সশস্ত্র সংগঠন আরসার ওপর দায় চাপিয়েছে।
মিয়ানমারের পক্ষ থেকে বলা হয়, আরসাকে সঙ্গে নিয়ে আরাকান আর্মি গত ১৬ সেপ্টেম্বর তংপিউ (বাম) বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) ৩১ নম্বর সীমান্ত ফাঁড়িতে মর্টারের গোলা দিয়ে হামলা চালায়। ওই হামলার সময় তিনটি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে পড়েছিল। এর পাশাপাশি আরাকান আর্মি ও আরসা ১৬ ও ১৭ সেপ্টেম্বর তংপিউ (ডান) বিজিপির ৩৪ নম্বর সীমান্ত ফাঁড়িতে মর্টারের গোলা নিয়ে পৃথক হামলা চালায়। এ সময় নয়টি মর্টারের গোলা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পড়ে।
বৈঠকে জ ফিউ উইন আরও বলেন, সীমান্তের কাছাকাছি প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়ার সময় মিয়ানমার অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে সব সময় দ্বিপক্ষীয় চুক্তি ও আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে। এর পাশাপাশি বাংলাদেশসহ সব দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। সীমান্ত এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমারের পক্ষ বাংলাদেশ পক্ষকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়ে তিনি বাংলাদেশ পক্ষ থেকে পূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেন।
মায়ানমারের পক্ষ হতে বলা হয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্তের ৪০-৪১ নং পিলারের কাছাকাছি অবস্হানরত মায়ানমার আর্মির কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৩টি বিওপি বর্তমানে আরাকান আর্মির দখলে চলে গেছে। বাংলাদেশকে এই ৩টি ঘাঁটি থেকে আরাকান আর্মিকে সরিয়ে দিতে বলেছে মায়ানমার। মায়ানমার আর্মি এর জন্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির ঘাঁটিকে দায়ী করেছে। যদিও বাংলাদেশ দেশের অভ্যন্তরে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের অবস্থান বরাবরের মতই অস্বীকার করে আসছে। এবারেও মায়ানমারের এই অভিযোগকে জোরালোভাবে নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ।