নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ মিসর থেকে দুই উড়োজাহাজ লিজ-সংক্রান্ত ঘটনায় ১১শ কোটি টাকা অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রক্ষণাবেক্ষণের প্রধান প্রকৌশলী সহ ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গতকাল সোমবার ১৯ সেপ্টেম্বর, সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। দুদকের সহকারী পরিচালক জেসমিন আক্তারের সমন্বয়ে একটি টিম তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে।
দুদক যাদের জিজ্ঞাসা করে তারা যথাক্রমে, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রক্ষণাবেক্ষণ শাখার চিফ ইঞ্জিনিয়ার মো. এস. এ. সিদ্দিক, প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার এস এম হানিফ ও দেবেশ চৌধুরী।
এর আগে গত বুধবার বিমানের মহাব্যবস্থাপক (অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা) মো. আব্দুর রহমান ফারুকীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সংস্থাটি।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, মিসর থেকে বোয়িংয়ের দুটি উড়োজাহাজ লিজ-সংক্রান্ত ১১শ কোটি টাকার অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রধান কার্যালয়ে গত ১ জুন অভিযান পরিচালনা করেছিল দুদক। দুদক উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে ওই অভিযান চালানো হয়েছিল।
এর আগে গত মঙ্গলবার বিমানের পরিচালক ক্যাপ্টেন ইশরাতসহ ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল দুদক।
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে পাঁচ বছরের চুক্তিতে ইজিপ্ট এয়ার (মিসর) থেকে বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর নামের দুটি উড়োজাহাজ লিজ নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
কিন্তু বছর না যেতেই ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট পরিচালনার পর একটি উড়োজাহাজের ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়।
উড়োজাহাজটি সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ার থেকে ভাড়ায় আরেকটি ইঞ্জিন আনা হলেও সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। পরে ওই ইঞ্জিন মেরামত করতে পাঠানো হয় যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠানে। এসব প্রক্রিয়ায় ইজিপ্ট এয়ার ও মেরামতকারী কোম্পানিকে পাঁচ বছরে ১১শ কোটি টাকা গচ্চা দিতে হয়েছে বাংলাদেশ বিমানকে।