যশোর প্রতিনিধি ঃ যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটিতে রিকশাচালক আলমকে হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে মামলা রুজুর ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই ২ জন আসামীকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে ওই ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাকৃত আসামিরা যথাক্রমে, চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের ছেলে রক্সি ও চুড়ামনকাটি এলাকার আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে মানিক।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসেন জানান, রিকশাচালক আলম বছর খানেক আগে চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মুন্নার রাইস মিলে চাকরি করতেন। সেই সুবাদে তিনি চেয়ারম্যানের মিছিল মিটিংয়ে অংশ নিতেন।
নির্বাচনে মুন্না চেয়ারম্যান পরাজিত হলে নতুন চেয়ারম্যান দাউদ আলীর লোকজন আলম সহ বেশ কয়েকজনের বাড়ি ভাঙচুর করে এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে আলম যশোর শহরে ভাড়া বাসায় বসবাস এবং রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে আলম চুড়ামনকাটি এলাকায় গেলে তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রোকসানা বেগম শুক্রবার রাতে ১২ জনকে আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন।
এএসপি বেলাল হোসেন আরও জানান, মামলা পাওয়ার পর শুক্রবার রাতেই অভিযান চালিয়ে হত্যায় জড়িত দাউদ চেয়ারম্যানের ছেলে রক্সি ও তার সহযোগী মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
