সুমন হোসেন, (যশোর) ঃ
যশোরের জেলা প্রশাসক কে রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রফিকুল ইসলাম এই স্মারকলিপি জেলা প্রশাসকের পক্ষে গ্রহন করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, যশোর শহরে প্রশাসন কর্তৃক রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিকরা হয়রানির শিকার ও যানবাহন চলাচলে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। যশোর পৌরসভা ও ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক জব্দ করা হচ্ছে এবং চালকদের বিভিন্ন জায়গায় হয়রানি ও জরিমানা করা হচ্ছে। এতে করে যশোর শহরের হাজার হাজার রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক চালকদের জীবন ও জীবিকা অনিশ্চত হয়ে পড়েছে।
আপনার কাছে ব্যাটারী চালিত রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচলের উপর হয়রানি বন্ধের দাবিনামা পেশ করা হলো।
দাবি গুলো হলো, অবিলম্বে রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক আটক ও হয়রানি বন্ধ করতে হবে। বুয়েট প্রস্তাবিত মডেলে ব্যাটারী চালিত রিকশা ভ্যান আধুনিকায়ন করে লাইসেন্স দিতে হবে। বিভিন্ন রাস্তায় রিকশা ভ্যান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করতে হবে। পৌরসভা, পুলিশ, ট্রাফিক সার্জেন্টদের অমানবিক আচারণ, নির্যাতন, চাকা লিক, হাওয়া ছেড়ে দেওয়া, সিট আটক ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। রিকশা ভ্যান শ্রমিক সহ নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য রেশনিং ও বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইকের গণপরিবহনহিসেবে শিল্পের স্বীকৃতি দিতে হবে। বর্তমান রাস্তায় চালু সকল রিকশা ভ্যান ইজিবাইকের জন্য প্রকৃত চালকদের লাইসেন্স দিতে হবে। সকল এলাকায় রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইকের স্ট্যান্ড চালু করতে হবে। বিআরটিএ কর্তৃক লাইসেন্স দিতে হবে। জীবিকার সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে।
সর্বশেষ উল্লেখ আপনার কাছে বিনীত নিবেদন ব্যাটারী চালিত রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক চলাচলের উপর পৌরসভা ও ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক হয়রানি বন্ধের দাবী জানাচ্ছি।
এর আগে যশোর রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক ইউনিয়নের আহবায়ক আব্দুল জলিলের নেতৃত্বে আনুমানিক শতাধিক রিকশা ভ্যান ও ইজিবাইক শ্রমিক শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে ব্যানার নিয়ে মিছিল করেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশের অমানবিক নির্যাতনের বিষয়ে বক্তব্যে বলেন, যদি স্মারকলিপি অনুযায়ী আমাদের দাবি না মানা হয়। তাহলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে। আর কোনো ট্রাফিক পুলিশ যদি কোনো শ্রমিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। সাথে সাথে আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
