!! দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে ৫টি অভিযোগের বিষয়ে কর্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২ টি দপ্তরে অভিযান পরিচালনা করা সহ ৩ টি দপ্তরে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ ভোলা আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পাসপোর্ট প্রদানে হয়রানি এবং দালালের মাধ্যমে টাকা নেয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার ২৭ সেপ্টেম্বর দুর্নীত দমন কমিশিন, সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালের সহকারী পরিচালক জনাব শাহাজাহান মিরাজের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযোগে উল্লিখিত যথাসময়ে পাসপোর্ট না পাওয়া সংক্রান্ত অভিযেগের রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় টিম অভিযোগে বর্ণিত অনিয়মের সত্যতা পায়নি। তবে পাসপোর্ট এর অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়ায় সাথে কতিপয় ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ও পাসপোর্ট অফিসের কর্মচারীদের যোগসাজশ রয়েছে মর্মে উপস্থিত সেবা প্রত্যাশীদের বক্তব্য হতে জানা যায়। এ বিষয়ে পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ প্রদান করে এনফোর্সমেন্ট টিম।
ভোলা লালমোহন আজিজিয়া এতিমখানা ও মাদ্রাসার সভাপতির বিরুদ্ধে এতিমদের অনুকূলে সরকারি বরাদ্দ এনে আত্মসাৎ এর অভিযোগে- ঐ একই টিম অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে।
টিম মাদ্রাসার অনুকূলে বরাদ্দকৃত সরকারী অর্থ সম্পর্কীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে দেখতে পায় যে, জানুয়ারি-জুন ২০২২ মেয়াদে ৩৫ জন এতিমের জন্য চার লক্ষ বিশ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রাপ্ত হয়েছে কিন্তু বাস্তবে ২০ জনকে উপস্থিত পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সভাপতি জানান, কয়েকজন ছুটিতে রয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন কমিটি এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসার কর্তৃক পরিদর্শন কালে মাদ্রাসার অন্যান্য ছাত্রকে এতিম দেখানো হয়, ফলে কমিটির পরিদর্শনে এতিমের সংখ্যা প্রাপ্তির বিষয়ে ভিন্নতা পরীলক্ষিত হয়। এমতাবস্থায় ঝটিকা পরিদর্শনের মাধ্যমে বেসরকারি এতিমখানা নীতিমালা-১৫ এর আলোকে ব্যবস্থাগ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে মর্মে টিম মনে করে।
এছাড়াও দুদক অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক কমিশনকে অবহিত করার জন্য ৪টি দপ্তরে দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিট হতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2022/09/received_636882344732109.jpeg)