ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদানে কেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে না? — হাইকোর্ট

Uncategorized আইন ও আদালত


নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনেলোজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এম আল বাকী বরকতুল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালামের সই করা এক অফিস আদেশে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়।

এই নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মু. আলী আসগর। তার দাবি, ক্রপ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি নিয়োগে হাইকোর্টের রায় অবমাননা করা হয়েছে। এই নিয়ে তিনি আদালত অবমাননার মামলা করবেনও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

ক্রপ সায়েন্স বিভাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুসারে অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের পরে বিভাগের সভাপতি হিসেবে আলী আসগরের নিয়োগ পাওয়ার কথা। সাইফুল ইসলামের সভাপতির মেয়াদ শেষ হয় ২০২০ সালের ৮ মে।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জ্যেষ্ঠতার ক্রম লঙ্ঘন করে অধ্যাপক আলী আসগরের পরিবর্তে আবুল কালাম আজাদকে সভাপতি নিয়োগ দেয়। এই ঘটনায় ওই বছরের জুনে হাইকোর্টে রিট করেন অধ্যাপক আলী আসগর।

রিট পিটিশনে ওই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তাকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৭৩ অনুযায়ী ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি হিসেবে নিয়োগ প্রদানে কেন উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারকে নির্দেশনা প্রদান করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। ২০২১ সালের অক্টোবরে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম এক চিঠিতে অধ্যাপক আলী আসগরকে রিট তুলে নেওয়া শর্তে সভাপতি নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন।

কিন্তু ওই সময় অধ্যাপক আলী আসগর এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। পরে গত আগস্টে আদালত অধ্যাপক আলী আসগরের পক্ষে রায় দেন। সেই সঙ্গে সভাপতি নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা করেন। অধ্যাদেশ অনুযায়ী অনতিবিলম্বে সভাপতি নিয়োগে উপাচার্যকে নির্দেশনা দেন। তবে এই রায়ের পরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদকে সভাপতির পদ থেকে সরায়নি। বরং গত ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি ছুটি নিলে তার জায়গায় অধ্যাপক এম আল বাকী বরকতুল্লাহকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রেজিস্ট্রার সই করা আদেশে বলা হয়, অধ্যাপক এম আল বাকী বরকতুল্লাহকে আপতত ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। দায়িত্ব পালনকালে তিনি ভাড়ামুক্ত বাসার সুবিধাসহ প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা হারে সম্মানী পাবেন। শনিবার (১ অক্টোবর) দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে অধ্যাপক আলী আসগর গণমাধ্যম কে বলেন, ‘ক্রপ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি নিয়োগে হাইকোর্টের একটি নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সেই নির্দেশনা অমান্য করেছে। আমি আদালত অবমাননার মামলা করবো।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম গণমাধ্যম কে বলেন, ‘বিভাগের সভাপতির পদটি গুরুত্বপূর্ণ। এটি খালি রাখা যায় না।

যেহেতু সভাপতি ছুটি নিয়েছেন তাই তার স্থলে অন্যজনকে সভাপতি করা হয়েছে।’আদালতের রায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘একটু ঝামেলা আছে। এজন্য আমরা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছি। আমরা আপিল করবো। ইতোমধ্যে আইনজীবীর সঙ্গে কথা হয়েছে।’রায় কার্যকর না করায় আদালত অবমাননা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোনও আদালত অবমাননা করা হয়নি।’


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *