বিজয়া দশমীতে বির্সজনের মধ্যদিয়ে দূর্গোৎসব সম্পন্ন

Uncategorized অন্যান্য


সুমন হোসেন, যশোর ব্যুরো ঃ
প্রতি বছর ঘুরে শরতের সময়ে বিশ্বের সনাতন ধর্মাবলম্বী তাদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উদযাপন করা হয়। বিশ্বের অন্যান্য দেশেও এই দুর্গোৎসব বিভিন্ন ধরনের আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উৎসবটি পালিত হয়। তবে শারদীয় দূর্গোৎসব বাঙ্গালীদের কাছে দুর্গাপূজা নামে অধিক পরিচিত।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। শনিবার ১ অক্টোবর মহাষষ্ঠীর মধ্যে দেবী দূর্গা ইহলোকে এসে এবং বুধবার ৫ অক্টোবর বিজয়া দশমীর বির্সজনের মধ্যে দিয়ে মত্যেলোকে গমনের মাধ্যমে শেষ হলো শারদীয় দূর্গোৎসব।

দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনার মধ্যে দিয়ে পালিত দূর্গোৎসব অনুষ্ঠান। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, “দুষ্টের দমন আর শিষ্টের পালনের জন্যই দেবী দুর্গার স্বর্গ থেকে আগমন ঘটেছিল মর্ত্যলোকে”।
এরই ধারাবাহিকতায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রতি বছর শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন করে আসছেন।

এ উপলক্ষে যশোর জেলায় প্রতিটি মন্দিরে প্রতিমাকে তুলির আঁচড়ে ফুটে উঠেছে দুর্গতিনাশিনী দুর্গার অবয়ব।
দুর্গার সঙ্গে স্থান ছিলো শিব, লক্ষ্মী, স্বরসতী, কার্তিক, অসুর ও গণেশের মূর্তি। প্রতিটি মন্দির ও পূজার মন্ডপ ধুয়ে মুছে পরিস্কার পরিছন্ন শুরু করেছে। প্রতিমা শিল্পীর নিপুণ হাতে রং তুলির আঁচড়ে প্রায় এক মাসের অধিক ধরে দেবী দুর্গার সর্বোচ্চ সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে।
একইভাবে ব্যস্ত সময় পার করছে ডেকোরেশন ও আলোকসজ্জা কারিগরগণ। প্রতিযোগিতা চলছে প্রতিমার সৌন্দর্য নিয়ে। প্রতিটি পুজা মন্ডপে চলবে আলোকসজ্জা প্রতিযোগিতা। সবমিলিয়ে যশোর জেলার পূজা মন্ডপ গুলোতে চলছে রং তুলির আঁচড়ের শেষ মুহুর্তের কাজ।
দেবীকে স্বাগত জানাতে সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের কোমলমতি শিশুরা, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা, নারী-পুরুষ সব বয়সী মানুষ এ সর্ববৃহৎ শারদীয় দুর্গোৎসবে মেতেছিলো মন উজাড় করে।

যশোর জেলা পূজা উদযাপন কমিটি সূত্রে জানা যায়, এ বছর যশোরে ৭শ’ ২৩ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারমধ্যে সদরে ১৫০ টি, শার্শায় ২৯ টি, ঝিকরগাছায় ৫৭টি, মনিরামপুরে ১০৫টি, কেশবপুরে ৯৬টি, চৌগাছায় ৪৯টি, বাঘারপাড়ায় ৯৭টি ও অভয়নগরে ১৩০টি মন্ডপে দূর্গা পুজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সারা দেশে ৩২ হাজার ১শ’ ৬৮টি মন্ডপে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ যশোর জেলা শাখার সভাপতি দীপঙ্কর দাশ রতন বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা সুষ্ঠাভাবে উদযাপনের জন্য সর্বাত্মকভাবে সহযোগীতা করার জন্য সকল প্রশাসনের কর্মকর্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
দুর্গাপূজা শান্তিপূর্ণভাবে পালনের সুবিধার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিলো, এ কারনে। কোনো প্রকার সমস্যা হয় নি। প্রতিটি পূজা মন্ডপে আনসার ও পূজা উদযাপন কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকায়, তাদেরকে কৃতজ্ঞতা ঙ্গাপন করছি।
যশোর জেলা পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, দূর্গাপুজাকে কেন্দ্র করে জেলা জুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিলো। আমরা পূজা উদযাপন পরিষদের কমিটির সাথে সব সময় খোজ-খবর নিয়েছি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করেছি। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থেকে কাজ করছেন।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *