নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ গত ১৯৯০ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সাড়ে ৭ টার সময় ময়মনসিংহ জেলার কোতয়ালী থানাধীন ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডস্থ পূরবী সিনেমা হলের নিকট ফ্রিডম পার্টির অফিসের সামনে মোঃ হারুন অর রশিদ (২৫)’কে ফ্রিডম পার্টির লোকজন গুলি করে এবং ঘটনাস্থলে মোঃ হারুন অর রশিদসহ আরো ০৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত হন। পরবর্তীতে মোঃ হারুন অর রশিদ (২৫) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।
উক্ত ঘটনার পরে আসামীরা পালানোর সময় ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল থানাধীন এলাকায় শামসুল ইসলাম সহ মোট ৩০ জনকে অস্ত্রসহ আটক করে ত্রিশাল থানার পুলিশ।
উক্ত ঘটনায় ময়মনসিংহ কোতয়ালী থানার মামলা নং-১৭(২)১৯৯০, ধারা-৩০২/৩২৬/৩২৪/৩৪ পেনাল কোড (হত্যা মামলা) এবং ২। ময়মনসিংহ ত্রিশাল থানার মামলা নং-২(২)১৯৯০, (অস্ত্র আইন) মামলা হয়।
পরবর্তীতে তদন্ত শেষে ময়মনসিংহ জেলার সহকারী পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, ময়মনসিংহ, মোট ৩০ জন আসামিকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। বিচারিক কার্যক্রম শেষে গত ৯ মে ২০১৭ সালে ময়মনসিংহ দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল উক্ত মামলায় ৩০ জন আসামির মধ্যে ২৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন।
৩ জন মৃত্যুবরণ করায় আদালত বিচারের জন্য সোপর্দ করেনি। গ্রেফতারকৃত শামসুল ইসলাম (৫৮) নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত হলেও সে পলাতক থাকে।
এরই ধারাবাহিকতায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ এর একটি আভিযানিক দল গত সোমবার ১৭ অক্টোবর, ১০ টা ২০ মিনিটের সময় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যাকান্ডের যাবজ্জীবন সাজা প্রাপ্ত পলাতক আসামী শামসুল ইসলাম (৫৮), পিতা-মৃত মনিরুল ইসলাম, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়নগঞ্জ’কে দীর্ঘ প্রায় ৩১ বছর পর গ্রেফতার করে।