যশোরে চোর চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার, ১৪ ভরি স্বর্ণ ও রূপার চোরাই অলংকার জব্দ

Uncategorized আইন ও আদালত

সুমন হোসেন (যশোর) ঃ ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, কেশবপুর থানাধীন দোরমুটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কেশবপুর থানাধীন খতিয়াখালী গ্রামের পবিত্র কুমার গোলদার এর বাড়ীতে গত ১ জুন রাতে জানালার গ্রীল কেটে ঘরে ঢুকে ৯ ভরি ১১ স্বর্ণালংকার চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাতনামা চোর/চোরেরা। এই সংক্রান্তে কেশবপুর থানার মামলা নং-০৩ তাং-০৫/০৬/২০২২ ধারা-৪৫৭/৩৮০ পেনাল কোড রুজু হয়।

কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ঝিকরগাছা থানা এলাকায় একই ঘটনার অভিযোগ পেয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, বিপিএম (বার), পিপিএম মামলাটি তদন্তের জন্য গত ১২ অক্টোবর জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্তভার ন্যাস্ত করেন।

ডিবি’র ওসি রুপন কুমার সরকার, পিপিএম এর নির্দেশে এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে চোর চক্রকে সনাক্ত করে এসআই আমিরুল, আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ একটি চৌকশ টিম অভিযানে নেমে গত ১৮ অক্টোবর বিকাল থেকে ১৯ অক্টোবর ভোর পযন্ত যশোর কোতয়ালী, কেশবপুর, মনিরামপুর, শার্শা, ঝিকরগাছা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চোর চক্রের ০৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে তাদের হেফাজত থেকে চেতনা নাশক ঔষধ সহ হলুদের গুড়া জব্দ করেন।

পরে তাদের স্বীকারোক্তি মতে মনিরামপুর স্বর্ণপট্টিতে অভিযান পরিচালনা করে সুন্দরী জুয়েলার্স দোকানের মালিক সুমন চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করে তার স্বীকারোক্তি মতে ৭ ভরি ৩ আনা স্বর্ণালংকা, ৭ ভরি রুপার অলংকার, নগদ ৩৩,৫০০ টাকা সহ অন্যান্য আলামত জব্দ করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, তারা পেশাদার আন্তঃজেলা সঙ্গবদ্ধ চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক চুরি মামলা তদন্তাধীন ও বিচারাধীন রয়েছে।

তারা পরস্পর যোগসাজসে হলুদের গুড়ার মধ্যে চেতনা নাশক উপরোক্ত ঔষধের গুড়া মিশিয়ে বসতবাড়ীর রান্নাঘরে থাকা হলুদের কৌটার মধ্যে কৌশলে চেতনা নাশক ঔষধ মিশানো হলুদের গুড়া রেখে দিয়ে আসে এবং পরের দিন অচেতন ও বিভোর ঘুমে আচ্ছন্ন হলে তারা চুরি করে থাকে বলে তথ্য প্রমান পাওয়া যায়। আসামীরা কেশবপুর, মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও শার্শা এলাকার বিভিন্ন বাড়ীতে চুরি করেছে বলে সাক্ষ্যি প্রমান পাওয়া যায় ।
গ্রেফতারকৃত আসামীর নাম ঠিকানা যথাক্রমে, মোঃ তরিকুল ইসলাম (২২), পিতা-মোঃ মাসুদ মোল্লা, সাং-বাগুটিয়া, থানা-অভয়নগর এ/পি- সাবদিয়া তসলিমার বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কেশবপুর, জেলা-যশোর, আব্দুস সালাম বিষু (৩০), পিতা- মোঃ খোরশেদ আলম, সাং-বিরামপুর পশ্চিমপাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর, মোঃ আলম শরিফ @ গোপাল (৩৯), পিতা- মোঃ বকস, সাং- দালালপাড়া, থানা-লালমনিরহাট সদর, জেলা-লালমনিরহাট, বর্তমান-জোড়া মন্দির রোড, মুড়লী রজব আলীর বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর জাহিদ হাসান জনি (২২), পিতা-শাহজাহান কবির (২২), সাং-রাজা ডুমুরিয়া, থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর এবং সুমন কুমার চক্রবর্তী (৩৫), পিতা- সাধন চক্রবর্তী, সাং- তাহেরপুর, থানা-মনিরামপুর, জেলা-যশোর ( সুন্দরী জুয়েলার্স, মনিরামপুর বাজার)

উদ্ধারকৃত আলামত সমুহের বিবরণ যথাক্রমে, ৭ ভরি ৩ আনা স্বর্ণালংকার,৭ভরি রুপার অলংকার,স্বর্ণ/রূপা গলানোর গ্যাসকিট, এবং নগদ ৩৩,৫০০ টাকা।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *