এইচবিআরআইর সাব-স্টেশন ও ব্লক প্ল্যান্টে চলছে দুর্নীতির মহোৎসব

Uncategorized আইন ও আদালত



!! অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালামে দেশের একমাত্র সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এইচবিআরআই) চলেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির মহোৎসব।২০১৯ সালের ২ এপ্রিল কিংডম বিল্ডার্সকে এইচবিআরআই কমপ্লেক্সে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি সাব-স্টেশন ও জেনারেটরের কাজ দেওয়া হয়। সাব-স্টেশন বাবদ খরচ ধরা হয় ৫০ লাখ টাকা। জেনারেটর বাবদ ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা। স্থাপনসহ মোট দর ছিল ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৯ টাকা। অথচ এর বিপরীতে এইচবিআরআই বিল পরিশোধ করে ৯২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অতিরিক্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করার পরও শুরু থেকেই সাব-স্টেশন ও জেনারেটর উভয়ই বিকল। এরই মধ্যে এক বছরের সার্ভিসিং সময়ও শেষ। ঠিকাদারকেও কখনও তলব করা হয়নি। প্রায় কোটি টাকা খরচ করে এক টাকারও উপযোগিতা পায়নি এইচবিআরআই। অন্যদিকে এইচবিআরআইর ভেতরে একটি অটোমেটিক ব্লক মেকিং প্ল্যান্টের কাজ পায় মহাখালী ডিওএইচএসের কিংডম বিল্ডার্স লিমিটেড। কিছুদিনের মধ্যে প্ল্যান্টটি তৈরি করে ১ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার টাকার পুরো বিল নিয়ে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। পরে দেখা যায়, প্ল্যান্টটি নিশ্চল। এ পর্যন্ত একটি ব্লকও তৈরি করতে পারেনি !!




নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ এইচবিআরআইর সাব-স্টেশন ও ব্লক প্ল্যান্টে দুর্নীতির মহোৎসব চলছে
দুই কোটি টাকার বেশি খরচ করে সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এইচবিআরআই) জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছিল। এসব প্ল্যান্টে এতো টাকা খরচ করা হলেও একদিনের জন্যও তা চালু হয়নি। অথচ সরকারি তহবিল ঠিকই ফাঁকা হয়েছে। দুর্নীতি হয়েছে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগেও।

গত রোববার (৬ নভেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট দপ্তরের একটি বিশেষ টিম অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। পরিদর্শনে জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায় টিম।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের উপ-পরিচালক ( জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক আজকের দেশ ডটকম কে বলেন, সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এইচবিআরআই) জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট স্থাপনে অনিয়ম এবং ২৮ জন নিরাপত্তাকর্মী কাজ করলেও ৪১ জনের বেতন উত্তোলনের অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনা কালে টিম জেনারেটর, সাব-স্টেশন ও অটো ব্লক মেকিং প্ল্যান্ট পরিদর্শন করে এবং সবগুলো মেশিনই অকার্যকর দেখতে পায়।

তিনি বলেন, এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের বর্তমান মহাপরিচালক আশরাফুল আলম এবং প্রিন্সিপাল রিসার্চ অফিসারের সঙ্গে প্রজেক্টসমূহের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে আলোচনা করে।
তাদের ভাষ্য মতে, ওই প্রজেক্ট এবং নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ সম্পর্কে ইতোমধ্যে পৃথক পৃথক বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। টিম শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করবে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর দারুস সালামে দেশের একমাত্র সরকারি আবাসন গবেষণা প্রতিষ্ঠান হাউজিং অ্যান্ড বিল্ডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউটে (এইচবিআরআই) চলেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির মহোৎসব। ২০১৯ সালের ২ এপ্রিল কিংডম বিল্ডার্সকে এইচবিআরআই কমপ্লেক্সে সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য একটি সাব-স্টেশন ও জেনারেটরের কাজ দেওয়া হয়।

সাব-স্টেশন বাবদ খরচ ধরা হয় ৫০ লাখ টাকা। জেনারেটর বাবদ ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা। স্থাপনসহ মোট দর ছিল ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৬১৯ টাকা। অথচ এর বিপরীতে এইচবিআরআই বিল পরিশোধ করে ৯২ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। অতিরিক্ত প্রায় ৮ লাখ টাকা বিল পরিশোধ করার পরও শুরু থেকেই সাব-স্টেশন ও জেনারেটর উভয়ই বিকল। এরই মধ্যে এক বছরের সার্ভিসিং সময়ও শেষ। ঠিকাদারকেও কখনও তলব করা হয়নি। প্রায় কোটি টাকা খরচ করে এক টাকারও উপযোগিতা পায়নি এইচবিআরআই।

অন্যদিকে এইচবিআরআইর ভেতরে একটি অটোমেটিক ব্লক মেকিং প্ল্যান্টের কাজ পায় মহাখালী ডিওএইচএসের কিংডম বিল্ডার্স লিমিটেড। কিছুদিনের মধ্যে প্ল্যান্টটি তৈরি করে ১ কোটি ১ লাখ ১১ হাজার টাকার পুরো বিল নিয়ে চলে যায় প্রতিষ্ঠানটি। পরে দেখা যায়, প্ল্যান্টটি নিশ্চল। এ পর্যন্ত একটি ব্লকও তৈরি করতে পারেনি।

এছাড়া ন্যাশনাল সিকিউরিটি সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে ২০১৮ সালের ৭ আগস্ট দরপত্র ছাড়াই এলিমেন্টস সিকিউরিটিজ কোম্পানিকে নিরাপত্তাকর্মী সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পরে ওই প্রতিষ্ঠানকে বাদ দিয়ে ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর একাত্তর সিকিউরিটি ফোর্স নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাগজে-কলমে ৪১ নিরাপত্তাকর্মীর দায়িত্ব পালন করার কথা। প্রতি মাসে ৪১ জনের বিলও পরিশোধ করেছে এইচবিআরআই। তবে তদন্ত কমিটি বাস্তবে পেয়েছে ২৮ জনকে।

বাকি ১৩ জনের বেতন কাগজে-কলমে তুলে নেওয়া হয়। প্রতিজনের মাসিক বেতন ৯ হাজার ৫০০ টাকা হিসাবে দুই বছরে ২৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানেরই ২৮ কর্মী কাজ করছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনও ওই সব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *