মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ বৃহস্পতিবার ১৭ নভেম্বর,
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কেএমপি’র আড়ংঘাটা থানাধীন লাইনবিল পাবলা শিকদার পাড়া জনৈক বিকাশ নন্দী (৫০), পিতা-মৃতঃ বিমল নন্দীর সঙ্গে জনৈক মোল্যা জাকির হোসেন(৫৫), পিতা- লোকমান হাকিম, মফিজুর রহমান@টুকু (৫০), পিতা-মৃতঃ শেখ মোকছেদ আলী, উভয় সাং-দেয়ানা দক্ষিণপাড়া বন্দপাড়া মেইন রোড, থানা-দৌলতপুর, খুলনাদের আড়ংঘাটা থানাধীন লাইনবিল পাবলা শিকদার পাড়ার ৯ কাঠা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধীতা চলছে।
অনুমান ১৮/২০ বছর পূর্বে বিকাশ নন্দী উক্ত ০৯ কাঠা জমি বাবদ জাকির হোসেনকে ৮১,০০০ টাকা পরিশোধ করে সেখানে বসতবাড়ি করে বসবাস করছিলো।
জাকির হোসেন জমির দখল দিলেও তালবাহানা করে রেজিস্ট্রি করে দেয়নি। ফলে উভয়ের মধ্যে ৩ টি ফৌজদারী মামলা ও ১ টি দেওয়ানী মামলা চলমান আছে এবং মাঝে মাঝে স্থানীয় পর্যায়ে শালিস দরবার হয়েছে। কিন্তু মামলা বা শালিস দরবারে কোন সমাধান আসেনি।
এমতাবস্থায় জমির দলিলের মালিক মোল্যা জাকির হোসেন ও মফিজুর রহমান@টুকু গত বুধবার ১৬ নভেম্বর, সকাল অনুমান ১০ টা ৪৫ মিনিটের সময় সময় ১০/১৫ জন লোক লাঠি সোটা নিয়ে বিকাশ নন্দীর বাড়ীতে অতর্কিত আক্রমন করে।
ঐ সময় বিকাশ নন্দী বাড়ীতে না থাকায় তার স্ত্রীকে জীবননাশের হুমকি দিয়ে তাদের বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়াল ঘর, গোলা ঘর এবং কাঠের ঘর ভাংচুর করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়। নগদ টাকা-পয়সাসহ অন্যান্য জিনিসপত্র লুটপাট করে। বিকাশ নন্দীর স্ত্রীর ডাক চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে আসামীরা পালিয়ে যায়।
উক্ত ঘটনার সংবাদ প্রাপ্তির সঙ্গে সঙ্গে অফিসার ইনচার্জ আড়ংঘাটা থানা, সহকারি পুলিশ কমিশনার (খালিশপুর জোন) ও ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মোল্যা জাহাঙ্গীর হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
বাদী বিকাশ নন্দী(৫০) এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এজাহারভুক্ত ৫ জন সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করা হয়েছে এবং অভিযান পরিচালনা করে ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামীরা যথাক্রমে, মোল্যা জাকির হোসেন, মফিজুর রহমান@টুকু, এবং মোঃ আলমগীর হোসেন’দেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান চলমান রয়েছে।
উল্লেখ্য যে, এই জমির দখল বেদখল নিয়ে বিকাশ নন্দীর সংগে জাকির হোসেন মোল্যা ও মফিজুর রহমান@টুকু’দের মধ্যে নিন্মলিখিত মামলাগুলো আদালতে বিচারাধীন আছে।
জাকির হোসেন বাদী হয়ে বিকাশ নন্দী এর বিরুদ্ধে ননএফআইআর ৫/১৪ এবং এনজিআর ২৫৮/১৪, ধারা-৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড মামলা দায়ের করেন যা বর্তমানে ক্রিমিনাল আপিল ১৩৮/১৫ হিসাবে আদালতে চলমান আছে, মফিজুর রহমান@টুকু বাদী হয়ে বিকাশ নন্দীদের বিরুদ্ধে ননএফআইআর ১২৬/১৯, ধারা-৪২৭/৫০৬ পেনাল কোড মামলা করেন যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে এবং বিকাশ নন্দী বাদী হয়ে জাকির হোসেন মোল্যা ও মফিজুর রহমান@টুকু’দের বিরুদ্ধে আদালতে সিআর ৮২/১৯, তারিখ-১২/১১/১৯, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/৩৭৯/৩৮০/৪২৭ পেনাল কোড মামলা করেন যা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন আছে।
এছাড়াও, বিকাশ নন্দী’র স্ত্রী সনেকা নন্দী উক্ত জমির মালিকানা দাবি করে ২০১৫ সালে ডুমুরিয়া আদালতে দেওয়ানী মামলা করেন যা বর্তমানে বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। উক্ত ঘটনার বিষয়ে তীক্ষ্ণ ও গোপন নজরদারী অব্যহত আছে।