আদালত প্রতিবেদক ঃ গতকাল রোববার ২০ নভেম্বর দুপুরে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণ থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গিরা।
এসময় আসামি আরাফাত ও সবুরকে ছিনিয়ে নিতে চেষ্টা করে জঙ্গিরা। পরে ঘটনাস্থল আরাফাত ও সবুরকে আটক করা হয়।
এ ঘটনায় ৫ জন পুলিশকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের কোন গাফিলতি আছে কিনা দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ঘটনার সূত্রে জানা যায়, পরিকল্পনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুটি মোটর সাইকেল যোগে আনসার আল ইসলামের অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন সদস্য অবস্থান নেয়। এছাড়াও আদালতের আশপাশে অবস্থান করা অজ্ঞাতনামা আরও ১০/১২ জন আনসার আল ইসলামের সদস্য আদালতের মূল ফটকের সামনে অবস্থান করে। এরপর তারা পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টতা রয়েছে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়া এর। তিনি আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার নেতা সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক ওরফে সাগর ওরফে বড় ভাই নামে পরিচিত। তিনি দেশের বাইরে পলাতক রয়েছেন। ধারণা করা হয় চাকরিচ্যুত এই ব্যাক্তি ভারত, পাকিস্তান, সিরিয়া সহ বিভিন্ন দেশে স্হান পরিবর্তন করছেন। তাকে ধরতে কয়েক দফা চেষ্টা চালানো হয়েছে, তার অবস্থান খুঁজে বের করতে এখনো মরিয়া গোয়েন্দা সংস্থা।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, প্রায় এক দশকে তারা অন্তত চারবার জিয়ার কাছাকাছি পৌঁছাতে পারলেও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় তার অবস্থান শনাক্ত করতে পেরেছিল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। তবে তাকে গ্রেপ্তারে বাহিনীর সদস্যরা পৌছানোর ঠিক আগেই পালিয়ে যান তিনি।
আমাদের দেশে যতো ইনডিভিজুয়াল টেরোরিস্ট বা জঙ্গি রয়েছে, তাদের মধ্যে জিয়া হচ্ছেন মোস্ট ওয়ান্টেড। তার বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ রয়েছে। ২০১২ সাল থেকে পলাতক চাকরিচ্যুত এই ব্যাক্তির নির্দেশনায় একের পর এক হত্যান্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের তথ্য চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ লাখ ডলারের পুরষ্কার ঘোষণাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।