মামুন মোল্লা (খুলনা) ঃ তক্ষক দক্ষিণ এশিয়ায় বিলুপ্তপ্রায় একটি প্রাণী। তক্ষক সাধারণত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্যাসিফিক অঞ্চলে পাওয়া যায়। এশিয়ান প্রাচীন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা ও আধুনিক বিভিন্ন চিকিৎসার ওষুধ তৈরিতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে। আমাদের দেশের গ্রাম বাংলার জঙ্গলে টিকিটিকির মতো দেখতে প্রাণীটি কোটি কোটি টাকায় বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে।
র্যাব-৬ (সদর কোম্পানি) এর আভিযানিক দল অবৈধ অর্থলোভী তক্ষক পাচার চক্রের সদস্যদের গ্রেফতারে এবং বিপন্নপ্রায় সরিসৃপটির বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষায় অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার ২১ নভেম্বর, র্যাব-৬ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কেএমপি খুলনার সদর থানা এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ পাচার চক্র বিভিন্ন মাধ্যম হতে তক্ষক সংগ্রহ করে পাচার করছে।
উক্ত সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে আভিযানিক দলটি একই তারিখ ৮ টা থেকে মঙ্গলবার ২২ নভেম্বর, দুপুর সাড়ে ১২ টা পর্যন্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, খুলনা ও বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, খুলনাদ্বয়ের সমন্বয়ে খুলনা মহানগরীর সদর থানাধীন রূপসা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে বিলুপ্তপ্রায় বন্যপ্রানী তক্ষক অবৈধভাবে পাচারের দায়ে বন্যপ্রাণী সংরক্ষন ও নিরাপত্তা আইনে তক্ষক পাচার চক্রের মূলহোতা মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (৪৫), থানা-খালিশপুর, কেএমপি, খুলনা, মোঃ আরিফুল ইসলাম সাগর (৪৩), থানা-খুলনা সদর, কেএমপি, খুলনা, ফারুক হোসেন বাপ্পি (৩০), থানা-পিরোজপুর সদর, জেলা-পিরোজপুরদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং মোঃ মিজান(৩৪), থানা-পিরোজপুর সদর, জেলা-পিরোজপুরকে ২,০০০ (দুই হাজার) টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। এ সময় তাদের নিকট হতে ১টি তক্ষক উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত তক্ষক বিভাগীয় বন কর্মকর্তা খুলনার নিকট হস্তান্তর করা হয় এবং কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের খুলনা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। জরিমানায় আদায়কৃত অর্থ বিধিমোতাবেক সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।